এমনিতেই বর্তমান সময়ে আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য শিশুদের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই আছে। তার উপর পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রভাব ফেলেছে অ্যাডিনোভাইরাস। কলকাতা-সহ বেশ কিছু জেলায় অ্যাডিনোভাইরাসের প্রভাব মারাত্মক। এমনকি শিশু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। কলকাতা-সহ অন্যান্য জেলায় এই ভাইরাসের প্রভাব থাকলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কম। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনিক স্তরে এই ভাইরাসকে মোকাবিলা করায় পরিকাঠামো গ্রহণ-সহ একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও আশা কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের রোগ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: নিম, পালং পাতার মতো নানাবিধ ভেষজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে আবীর, সুফল জানেন? কোথায় পাবেন
আরও পড়ুন: পলাশের রঙে পর্যটকদের নিশ্চিন্তে বুঁদ হতে দিতে চায় পুলিশ
এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার বিভাস রায় জানান, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেই তথ্য অনুযায়ী জ্বর, সর্দি কাশি রয়েছে এমন শিশুর সংখ্যা ৩০১। এমনকি জেলা জুড়ে ৩৭ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। এগরার চার শিশুকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে। এই ৩০১ জনের সবাই যে অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত তা নয়। অ্যাডিনোভাইরাস ও সিজিনাল ফিভারের লক্ষণ প্রায় একই রকম, তাই বিশেষ নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে ওই শিশুদের।
এছাড়াও তিনি জানান, দোল বা হোলিতে শিশুরা রং খেললেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। রং খেলার পর হাত ভাল ভাবে পরিষ্কার করতে হবে। কোমর্বিডিটি রয়েছে এ ধরনের শিশুদের নজরে রাখা প্রয়োজন।
Saikat Shee