পুরুলিয়া: বসন্তকাল মানেই দোলের উৎসব। এই উৎসবের আনন্দে মাতোয়ারা হতে চলেছে আপামর বঙ্গবাসী। বয়সের বাঁধ ভেঙে বসন্ত উৎসবে মেতে উঠবে ৮ থেকে ৮০। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে সকলেই রঙিন হয়ে উঠবে আবীরের রঙে। নানান রঙের আবীরে সেজে উঠেছে বাজার। তবে বেশিরভাগই সেই সব কেমিক্যাল আবীর। তবে পুরুলিয়ার চিত্রটা কিছুটা অন্যরকম।
রাঙামাটির দেশ পুরুলিয়া। তার সবটাই বৈচিত্র্যপূর্ণ। আবীরের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম রয়েছে। পুরুলিয়ার সিধু কানু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করা হয়েছে ভেষজ আবীর। বিগত বছর থেকেই তারা এই কাজে যুক্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পড়ুয়া পড়াশোনার পাশাপাশি ভেষজ আবীর তৈরি করছেন। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভেষজ আবীর তৈরিতে যথেষ্ট সারা পেয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: বসিরহাট যেন এক টুকরো শান্তিনিকেতন, বসন্ত উৎসবে মাতলেন ৮ থেকে ৮০
আরও পড়ুন: পলাশের রঙে পর্যটকদের নিশ্চিন্তে বুঁদ হতে দিতে চায় পুলিশ
এই বছর সিধু কানু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন এসএইচই গ্রুপগুলিকে ট্রেনিং দিয়ে প্রায় ৫০০ কেজি ভেষজ আবীর তৈরি করা হয়েছে। হলুদ, নিমপাতা, পালং পাতা, বিট, পলাশ ফুল-সহ বিভিন্ন ভেষজ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই আবীরগুলি। বাজারের কেমিক্যাল আবীরের তুলনায় এই আবীরের গুণগতমান অনেকটাই ভাল। শারীরিক কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয় না এই আবীর ব্যবহার করলে। এমনটাই জানিয়েছেন সিধু কানু বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটানি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সুব্রত রাহা। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর উৎসাহ পেয়ে পলাশ ফুল থেকে আবীর তৈরিতে আরও অনেকখানি জোর দিয়েছেন। আবীরের গুণগত মান ও রং ধারণের ক্ষমতা আরও ভাল করার জন্য ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু হয়েছে পলাশ ফুল নিয়ে।
রঙের উৎসবে মাততে গিয়ে বিভিন্ন কেমিক্যাল যুক্ত আবীরে ছেয়ে গিয়েছে সমস্ত বাজার। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, এই কেমিক্যাল যুক্ত আবীর বা রং ব্যবহারের ফলে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর তার জন্যই ভেষজ আবীর তৈরিতে জোর দিচ্ছে প্রশাসন। শুধু পুরুলিয়া জেলায় নয় রাজ্যের অন্যান্য জেলাতেও ভেষজ আবীর তৈরিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dol Purnima, Holi 2023