সৌমিত্র সামন্তের কথায় জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ায় তমলুক পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবকের সঙ্গে ঘর ছেড়েছেন তার স্ত্রী। দ্বারস্থ হয়েছিলেন পুলিসেরও। দেড়মাস হল পুলিশও খোঁজ দিতে পারেনি। শেষে ‘গণপ্রচার’ চালিয়ে স্ত্রী’র সন্ধান পেতে চাইছেন সৌমিত্র। এক হাজারেরও বেশি পোস্টার ছাপিয়ে সাঁটাচ্ছেন পথেঘাটে। বড় হরফে লেখা সন্ধান চাই। তার পাশে স্ত্রীর ছবি। নীচে নাম-ঠিকানা।তমলুক থানার তথ্য বলছে, বেশ কয়েকমাস ধরে এভাবে সংসার ছাড়ার প্রবণতা বেড়েছে গৃহবধূদের মধ্যে। কেউ ফিরছেন, কেউ ফিরছেন না। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পুলিস অনেককে ফিরিয়েও আনছেন। আবার বহু পরিবার ‘যাক যা গেছে তা যাক’ বলে হাল ছেড়ে দিয়েছেন।
advertisement
প্রেমিকের সঙ্গে এভাবে ঘর ছেড়ে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না সৌমিত্র সামন্ত। সন্তানেরা বড্ড অসহায়। মা’কে না পেয়ে কাঁদছে সারাক্ষণ। সৌমিত্র টোটো নিয়ে বেরিয়ে গেলে তাদের দেখার কেউ নেই। আবার না বেরোলেও সংসার অচল। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর ক’দিন বাড়িতেই থাকতেন। সন্তানদের দেখভাল করতেন। আর পেরে উঠছেন না। বেরোতে হচ্ছে টোটো নিয়ে। সকালে সন্তানদের মুড়ি খাইয়ে বেরিয়ে যান সৌমিত্র। দুপুরে হোটেলের খাবার কিনে আনেন। রাতের খাবারেও মুড়ি।
আরও পড়ুন: বর্ষা এলেও দেখা নেই বৃষ্টির! গ্রামে দেবরাজ ইন্দ্রের পুজো করে বৃষ্টিকে ডাক!
সৌমিত্র সামন্ত জানান, ‘আমি ওই যুবকের বাড়িতে একাধিকবার গিয়েছি। যুবকের বাবা-মায়ের কাছে আমার করুণ অবস্থার কথা বলেছি। দ্রুত তাঁদের ছেলে এবং আমার স্ত্রীকে ফেরানোর জন্য আবেদন জানিয়েছি। আট-দশবার থানায় গিয়েছি। সব জায়গায় নিরাশ হচ্ছি। অগত্যা লাজলজ্জা বিসর্জন দিয়ে স্ত্রীর ছবি, নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করেই ‘সন্ধান চাই’ পোস্টার সাঁটাচ্ছি।’ সেই সঙ্গে সৌমিত্রের সংযোজন—‘আসলে কী জানেন তো, সন্তানের কাছে মায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। আমার সন্তানরা ঠিকমতো খেতে পাচ্ছে না। কান্নাকাটি করছে। বাবা হয়ে ওদের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই লাজ-লজ্জা ছেড়ে পোস্টার সাঁটাচ্ছি।’ যদিও এ বিষয়ে তমলুক থানার আইসি অরূপ সরকার জানিয়েছেন, ''থানায় একটা মিসিং অভিযোগ জমা পড়েছে। বধূকে খোঁজার সবরকম চেষ্টা চলছে।''
Saikat Shee