চিনি জলের সঙ্গে ফুটিয়ে তৈরি হয় চিনির গাঢ় মিশ্রণ। চিনির মিশ্রণে দেওয়া হয় মাত্র দুই চা-চামচ লেবুর রস। তারপর আঁচ থেকে নামিয়ে চিনির রস একটি লম্বা পাত্রের মধ্যে ঢালা হয়। মিশ্রণটি ঠান্ডা হয়ে এলে একটি মন্ড আকারে পরিণত হয়। তারপর ওই মন্ডটি বারবার সুতোর মতো টেনে ধবধবে সাদা করা হয়। সম্পূর্ণ সাদা হয়ে গেলে। একটি পাটাতনের উপর ফেলে ৩২ টি ভাঁজ করা হয় পুরো মন্ডটিকে। তারপর সেখান থেকেই নানা সাইজের কদমা তৈরি করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : শখের ছাদবাগানে বারোমেসে আম! বছরে তিন বার আম হয় এক গাছেই
আরও পড়ুন : সঙ্গমের পরেই চরম ঘুম! অজান্তেই ভুল করছেন না তো? জানুন অবাক করা কারণ
কদমা তৈরির কারিগর জানান, "চিনির মিশ্রণটি গাঢ় না হলে কদমা তৈরি করা যায় না।" ৪৬২ বছরের প্রাচীণ ময়নার রাসমেলার কদমা মিষ্টি খুব জনপ্রিয়। প্রতিবছর ব্রাশের সময় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি অন্যান্য জেলার লোকজন মূলত কদমা মিষ্টির টানে ময়নার রাসমেলায় ভিড় করে। পর পর শেষ দু'বছর করোনা অতিমারির প্রভাবে রাসের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান হলেও রাসমেলা বন্ধ ছিল। এ বছর করোনা অতিমারের প্রকোপ নেই তাই রাসমেলায় দোকান বাঁধার প্রস্তুতি শুরু বিভিন্ন দোকানদারদের। ইতিমধ্যেই ময়নার রাস মেলায় বিভিন্ন দোকানদাররা ব্যস্ত কদমা তৈরি করতে। এক এক দোকানে চার পাঁচ জন করে দক্ষ কারিগর তৈরি করছে রাস মেলার জনপ্রিয় মিষ্টি কদমা।
Saikat Shee