আরও পড়ুন: ২৯ ফুটের বিশাল কালী পুজো হয় তান্ত্রিক মতে!
নতুন প্রজন্মকে বাংলার চিরাচরিত হস্তশিল্পে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিবছর জেলায় জেলায় রাজ্য সরকারের সহায়তায় জেলা শিল্প কেন্দ্রের উদ্যোগে কারু ও হস্তশিল্প প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার তেমনই এক প্রতিযোগিতা হয়ে গেল। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক তানবির আফজাল সহ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।
advertisement
জেলাশাসক এদিন শিল্পীদের হাতে তৈরি বিভিন্ন সামগ্রী ঘুরে ঘুরে দেখেন। গত বছরের এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের হাতে শংসাপত্রও তুলে দেন।
নতুন প্রজন্মকে কারু ও হস্তশিল্পে উদ্বুদ্ধ করার জন্য শুধুমাত্র প্রতিযোগিতা আয়োজন নয়, এর পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে শিল্পীদের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রির জন্য বিভিন্ন সরকারি মেলায় বিনামূল্যে স্টল দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিল্পীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। এর ফলে শিল্পীরা তাঁদের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করে সম্পূর্ণ আয় নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন। এর পাশাপাশি আর্টিজান কার্ড ও বিভিন্ন সরকারি সহায়তায় কারু ও হস্তশিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ছে। আর তাতেই কারু ও হস্তশিল্পে প্রাণ ফিরেছে।
এদিন হস্তশিল্প প্রতিযোগিতায় মোট ১৬৮ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। শিল্পীদের তৈরি জিনিস বিচারকদের সামনে তুলে ধরা হয়। বাটিক শিল্প থেকে মাদুর শিল্প, ঝিনুকের তৈরি সামগ্রী থেকে হর্ন শিল্পের বিভিন্ন জিনিস সামগ্রী প্রদর্শিত হয়। বাটিক শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা গৌতম মান্না জানান, সরকারি সহায়তায় বিভিন্ন মেলায় তাঁদের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করার সুযোগ মিলেছে জেলা শিল্প কেন্দ্রের আধিকারিকের সহৃদয় প্রচেষ্টায়। এতে তাঁদের আয় আগের থেকে অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।
সৈকত শী