২৮ অক্টোবর কোজাগরী পূর্ণিমায় বাংলার ঘরে ঘরে ধনদেবী লক্ষ্মীর পুজো হয়। এবছর লক্ষী পুজোতে লক্ষ্মীলাভ ভালো হওয়ায় হাসি ফুটল প্রতিমা শিল্পীদের। শেষ কয়েক বছর করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে সেইভাবে প্রতিমা বিক্রি হয়নি। এবার আগে থেকেই দেবীর মূর্তির বুকিং ভালো হওয়ায় খুশি প্রতিমা শিল্পীরা। রাতদিন এক করে প্রতিমা তৈরির শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত শিল্পীরা। শিল্পীরা জানাচ্ছেন, বুকিং যেমন বেড়েছে তেমনি প্রতিমার দামও বেড়েছে। ফলে লক্ষ্মীলাভ এবছর ভাল হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুজোতেও থিম, গ্র্যান্ড লিজবোয়া’র ভেতর লালকেল্লা!
কোজাগরী পূর্ণিমার দিন বাংলার ঘরে ঘরে লক্ষ্মীপুজার চল থাকায় ফলে প্রতিমা শিল্পীদের কাছে মূর্তি তৈরির অর্ডার প্রতিবছর ভালোই আসে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টির কারণে অনেক সময় অর্ডার নিতে ভয় পায় শিল্পীরা। কিন্তু এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় শিল্পীদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। তমলুকের এক প্রতিমা শিল্পী চন্দনা ভট্টাচার্য জানান, বিগত প্রায় তিন দশক ধরে প্রতিমা তৈরিতে স্বামীর ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে যুক্ত। সংসারের কাজ সেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। আবহাওয়া ভাল থাকায় এবার বেশি সংখ্যক প্রতিমা তৈরি হয়েছে। রাতদিন করে প্রতিমার সাজ ও গহনা পরানোর কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: কফি হাউসের সেই আড্ডাটা এবার জমবে দিঘার সমুদ্রের ধারে! দিঘায় খুলছে কফি হাউস!
প্রসঙ্গত এবারও আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল দুর্গা পুজোর শেষের দিক থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা। এমনকি সেই মত দুর্গাপুজার অষ্টমী ও নবমীর দিন বৃষ্টি হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিমা শিল্পরা চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু বৃষ্টি বেশী না হওয়ায় ও পরবর্তী সময়ে পরবর্তী সময়ে আবহাওয়ার উন্নতি হয়। ফলে শেষ মুহূর্তেও প্রতিমা শিল্পীরা প্রতিমার অর্ডার নিয়েছে। ফলে তমলুক সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিমা শিল্পীদের স্টুডিওতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা তুঙ্গে।
সৈকত শী