পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ভাগ্য ঝুলে আছে হাইকোর্টে। ফলে এখনও পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি সরকারি গেজেট। কিন্তু গ্রামে গ্রামে গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড কার দখলে যাবে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দরকষাকষি। বিশেষ করে যেই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে প্রধান উপপ্রধানের পদগুলি সংরক্ষিত সেখানে সমস্যা আরও গভীরে। কারণ দেখা যাচ্ছে, ওইসব গ্রাম পঞ্চায়েতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করা দলে প্রধান উপপ্রধান পদের জন্য সংরক্ষিত আসনে জয়ী প্রার্থী নেই। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরে রয়েছে সংরক্ষিত আসনে জয়ী প্রার্থী।
advertisement
ঠিক এরকমই ঘটনা সামনে এল ভোটের ফলাফলের পর। রামনগর-২ ব্লকের কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল। কিন্তু প্রধান পদে বসতে চলেছেন বিজেপি থেকে জয়ী প্রার্থী। প্রধানের পদটি এসসি সংরক্ষিত। আর একমাত্র এসসি প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন বিজেপির রথীকান্ত দাস।
ফলে এখনও পর্যন্ত যা খবর, তিনিই প্রধান পদে বসতে চলেছেন। উল্লেখ্য, কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। চারটি আসন পেয়েছে বিজেপি। কাদুয়ার মালঞ্চ ১৩ নম্বর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপির রথীকান্তবাবু। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দল প্রার্থী সৌমেন বরকে ১৭টি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন।
আরও পড়ুন, সামনে শুভেন্দু, বুধের পর বৃহস্পতিতেও এককাট্টা বিজেপি! ‘ঝড়ের’ অপেক্ষায় বিধায়করা
আরও পড়ুন, বেড়ে চলেছে দাপট! ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আজ বৈঠক বসবে নবান্নে
বোর্ড তৃণমূলের হলেও প্রধান হতে চলেছে বিজেপি। যদিও এই সমীকরণ নিয়ে তৃণমূলের নীচুস্তরের নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, প্রধান পদে যদি বিজেপির কেউ বসেন, তাহলে তা দলের পক্ষে মোটেই সুখকর হবে না। এসসি প্রার্থী হিসেবে অন্য আসনে কাউকে বিকল্প হিসেবে রাখলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে না এমনটাই মনে করেছেন বিদায়ী প্রধান। তিনি অনায়াসে দলের পক্ষ থেকে প্রধান পদে বসতে পারতেন। তবে কাদুয়া পঞ্চায়েতে শেষ পর্যন্ত কী সমীকরণ দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর রয়েছে এলাকার বাসিন্দা থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল-সকলেরই।
Saikat Shee