ফিরে এসেছে সে। এসেছে ‘জয় বাংলা’। ছোট থেকে বড়, সবার মধ্যেই দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে এই চোখের অসুখ। বাড়িতে একবার কেউ আক্রান্ত হলেই নিমেষে সকলেই এই রোগের খপ্পরে পড়ছেন। তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মুশকিল হল, এই অসুখ নিয়ে জনমানসে সতর্কতা তো দূর অস্ত, বরং বিভ্রান্তিই রয়েছে বেশি। এই যেমন অনেকেই মনে করেন, কনজাংটিভাইটিস বা জয়বাংলায় আক্রান্ত কোনও রোগীর চোখের দিকে তাকালেই নাকি এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে! আর সেই কারণেই আক্রান্তকে ঘর থেকে বেরতে মানা করা হয়। এমনকী তাঁকে অন্য কারও চোখের দিকে না তাকানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ায় লুকিয়ে ছিল শিব-লিঙ্গ! সামনে আসতেই যা ঘটছে! শ্রাবণ মাসে চমৎকার!
আরও পড়ুন:
‘কনজাংটিভাইটিস’ আক্রান্তের চোখের দিকে তাকালেই আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে? এই প্রশ্নের উত্তরে মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় জানান, ‘কনজাংটিভাইটিস’ আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে কিছুটা সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখতে হবে। যারা এই রোগে আক্রান্ত তারা কালো চশমা পরে বাইরে বেরোবেন। সাধারণ ‘কনজাংটিভাইটিস’ আক্রান্তরা চিকিৎসা ছাড়াই দু’তিন দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। নরমাল ‘কনজাংটিভাইটিস’ এর লক্ষণ চোখ ফুলে ওঠা, চোখ লাল হওয়া। চোখ দিয়ে জল পড়া এবং আলোর দিকে তাকাতে অস্বস্তিবোধ করা। কিন্তু ব্যাকটেরিয়াল ‘কনজাংটিভাইটিস’ এর ক্ষেত্রে অন্যান্য উপসর্গের পাশাপাশি চোখে পিচুটি কাটে, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে।’
Saikat Shee