TRENDING:

Independence Day 2022 : পর্যটনকেন্দ্র অধরাই, সুবলদহ গ্রামে রাসবিহারী বসুর জন্মভিটে আজও অবহেলিত

Last Updated:

Independence Day 2022 : স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতেও অবহেলিত বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্মভিটে। আজও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠল না রাসবিহারী বসুর জন্মভিটে। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মালবিকা বিশ্বাস, পূর্ব বর্ধমান :  স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন অগ্রগণ্য বিপ্লবী নেতা ছিলেন রাসবিহারী বসু। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মির অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি । ১৮৮৬ সালে পূর্ব বর্ধমান জেলার সুবলদহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি । আজ তাঁর জন্মভিটে আবহেলিত । স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এই সুবলদহ গ্রাম উপেক্ষিত । গ্রামবাসীদের আক্ষেপ এই সুবলদহ গ্রামকে পর্যটন মানচিত্রে তুলে ধরার জন্য সরকারের তরফে যতটা উদ্যোগ নেওয়ার দরকার ছিল,  সেটা কেউ করেননি। নামেই বিপ্লবীর জন্মভিটে, গ্রামে পড়ে আছে শুধুই কিছুটা জমি । বিপ্লবীর স্মৃতি বলতে আছে একটা পাকা শৌচাগার । আর একটা ফলকে খোদাই করা বিপ্লবী রাসবিহারী বসু । আর তেমন কিছুই চোখে পড়বে না গ্রামে।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এই সুবলদহ গ্রাম উপেক্ষিত
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে এই সুবলদহ গ্রাম উপেক্ষিত
advertisement

তবে এ সবের মধ্যেই রাজ্য সরকার বিপ্লবীর জন্মভিটে সংরক্ষণ করার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে । সেই টাকা দিয়েই বিপ্লবীর জমি লাগোয়া একটা ছোট পাঁচিল তোলা হয়েছ,  রয়েছে একটা শৌচাগার । শৈশবে বিপ্লবী সুবলদহ গ্রামের যে পাঠশালায় পড়েছিলেন সেই পাঠশালা এখন ‘সুবলদহ রাসবিহারী বসু প্রাথমিক বিদ্যালয়’ হিসাবে পরিচিত। বিদ্যালয়ে পূর্ণ মর্যাদায় সংরক্ষিত রয়েছে বিপ্লবীর চিতাভস্ম । কিন্তু এমন ঐতিহ্যশালী বিদ্যালয়েরও এখন ভগ্নদশা।

advertisement

বিপ্লবীর জন্মভিটে সংরক্ষণের জন্য তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে আক্ষেপ গ্রামবাীদের । তাঁরা বলেন,  ‘‘ বহু বছর পর গ্রামে কিছুটা পাকা রাস্তা হয়েছে। আর কিছুই সেভাবে উন্নতি হয়নি। বিপ্লবীর জন্মভিটে কার্যত অবহেলায় পড়ে রয়েছে।’’

আরও পড়ুন : আহত চিতাবাঘের পায়ে রাখি পরালেন রাজস্থানি বধূ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবি

advertisement

View More

রাসবিহারী বসুর পিতা কর্মসূত্রে হুগলি জেলার চন্দননগরে থাকতেন । সেখানকার স্কুল ও কলেজের পাঠ সম্পূর্ণ করে রাসবিহারী বসু বিপ্লবী আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯০৮ সালে তিনি আলিপুর বোমা বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত হন। কারাগার থেকে মুক্তি লাভের পর গোপনে বাংলা, উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের বিপ্লবীদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন । পরবর্তী সময়ে বাঘা যতীনের একনিষ্ঠ অনুগামী হয়ে ওঠেন তিনি । দেশকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের কবল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে নানান বিপ্লবী কর্মকাণ্ড তিনি চালিয়ে যান ।

advertisement

আরও পড়ুন : উচ্চতায় টেক্কা আইফেল টাওয়ারকেও! ভূস্বর্গে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে চেনাব রেলসেতু

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
যা নেবেন মাত্র ৫ টাকা! বিজয়ার মিষ্টির সাবেকি স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে এখানে, কোথায় জানেন
আরও দেখুন

শেষ পর্যন্ত ইংরেজ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এড়াতে পারেননি, ফলে দেশ ছেড়ে চলে যান তিনি। ১৯১৫ সালের ১২ মে কলকাতার খিদিরপুর বন্দর থেকে তিনি জাপানের জাহাজে চড়ে বসেন । জাপানে থেকেও ভারতের স্বাধীনতার জন্য তিনি নানান কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান । এর পর ১৯৪৫ সালের ২১ জানুয়ারি জাপানের টোকিওয় রাসবিহারী বসু শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Independence Day 2022 : পর্যটনকেন্দ্র অধরাই, সুবলদহ গ্রামে রাসবিহারী বসুর জন্মভিটে আজও অবহেলিত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল