ধানের বা আলু চাষে প্রচুর জল লাগে। কিন্তু ভুট্টা চাষে জল লাগে পরিমাণ মতো। জল দাঁড়াবে না, এইরকম মরশুমে যদি ভুট্টা চাষ করা হয় তাহলেই চাষের ফলন ভালো হবে বলে জানাচ্ছেন জেলার কৃষি অধিকর্তারা।
আরও পড়ুন- খোসবাগান হাসপাতাল রোডে পার্কিং, বাড়ছে দুর্ভোগ
এ বিষয়ে জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা আশীষ কুমার বারুই বলেন, "রোগ পোকার ম্যানেজমেন্ট খুব কম। সুতরাং চাষিরা অল্প খরচ করেই মোটা অংকের লাভের অংশ পেতে পারে। ফলে ভুট্টা চাষে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভুট্টা চাষ নিয়ে প্রদর্শনী করা হচ্ছে। ফলে ভুট্টা চাষ যাতে জেলায় প্রসার লাভ করে তার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
advertisement
আরও পড়ুন- ১৭ মাসের দিতিপ্রিয়া আক্রান্ত ব্রেন ক্যান্সারে, চিকিৎসা চলছে
তিনি আরও বলেন, "ভুট্টা চাষ করতে সাধারণত চাষিদের বিঘা প্রতি খরচ হয় পাঁচ থেকে ছ'হাজার টাকা। ফলন হয় ১১ থেকে ১২ কুইন্টাল। প্রতি কুইন্টালে চাষিরা পান ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকা। স্বাভাবিকভাবেই চাষিদের লাভ হয় অনেকটাই।"
উল্লেখ্য, ভুট্টার দানা মানুষের খাদ্য হিসেবে এবং ভুট্টার গাছ ও সবুজ পাতা উন্নত মানের গোখাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বেলে দোআশ ও দোআশ মাটি ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। উচ্চ ফলনশীল জাতের ভুট্টার আশানুরূপ ফলন পেতে হলে রবি মৌসুমে সেচ প্রয়োগ প্রয়োজন। উদ্ভাবিত জাতে ৩-৪টি সেচ দেওয়া যায়।প্রথম সেচ, বীজ বপনের ১৫-২০ দিনের মধ্যে ৪-৬ পাতা পর্যায়। দ্বিতীয় সেচ, বীজ বপনের ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে ৮-১২ পাতা পর্যায়। তৃতীয় সেচ, বীজ বপনের ৬০-৭০ দিনের মধ্যে মোচা বের হওয়া পর্যায়। চতুর্থ সেচ, বীজ বপনের ৮৫-৯৫ দিনের মধ্যে দানা বাঁধার পূর্ব পর্যায়।
ভুট্টার ফুল ফোটা ও দানা বাঁধার সময় কোনভাবেই যাতে জমিতে জল না দাঁড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। জমিতে আগাছা দেখা দিলে নিড়ানী দিয়ে দমন করতে হবে। ভুট্টার চারা অবস্থায় কাটুই পোকার আক্রমণ হলে হাত দিয়ে তা মেরে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতি বজায় রাখলেই কম খরচে ভালো মুনাফা করতে পারেন ভুট্টা চাষে।
Malobika Biswas