ভ্রমণপিপাসু হওয়ার সুবাদে, রাধামোহন ঘোষচৌধুরী একসময় গিয়েছিলেন বৃন্দাবন ভ্রমণে। তিনি সেখানকার মন্দির ও স্থাপত্য দেখে মোহিত হয়ে যান । বৃন্দাবনের লালা বাবুর মন্দির দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেন তার জন্মভূমি জগদানন্দপুর গ্রামে তিনি নির্মাণ করবেন এমনই এক মন্দির। সেইমতো নদী বেয়ে মথুরা বৃন্দাবন মির্জাপুর থেকে আসে পাথর । ভাগীরথী হয়ে দাঁইহাটের নিকট ভাগীরথীরই উপশাখা সাপুলা এবং সেখান থেকে ৮ কিমি খাল কেটে নৌকায় করে পাথর এসে পৌঁছয় জগদানন্দপুর গ্রামে। মন্দির নির্মাণ করতে কারিগররা আসেন উত্তরপ্রদেশ থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন : একই বাড়িতে দুই স্ত্রীকে নিয়ে ভরা সংসার, সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন ইউটিউবার সানি রাজপুতের
দীর্ঘ কুড়ি বছরের চেষ্টায় ১৮৩৯ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ, প্রায় ৮২ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দ্বিতল , রথ আকৃতি রাধাগোবিন্দজির এই পঞ্চরত্ন মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই মন্দিরটির পূজা অর্চনা ও ভোগ প্রসাদের দায়িত্বে রয়েছে নবদ্বীপের গৌড়ীয় মঠের সদস্যরা। এই মন্দিরে নিয়ম মেনে প্রতিদিন ভোর থেকে শুরু হয় রাধা কৃষ্ণের পূজাঅর্চনা।
মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে ভোগ প্রসাদের ব্যবস্থাও। মন্দিরের দায়িত্বে থাকা গৌড়ীয় মঠের সদস্য জানান, মন্দিরে আগত দর্শনার্থীরা আগের দিন মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁদের ভোগ প্রসাদের বন্দোবস্ত করা হয়ে থাকে। মন্দিরের গায়ে, সুদক্ষ পাথরের কারুকার্য নজর কাড়ে দর্শনার্থীদের। সারা বছর এই মন্দিরের টানে দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন কাটোয়ার জগদানন্দপুর গ্রামে।