সকালে মাছ বিক্রি শেষ করেই তারপর তিনি সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত হন। শোনেন বিভিন্ন মানুষের সমস্যার কথা। পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে সাধারণ মানুষের সে সমস্ত সমস্যার কথা তুলে ধরে সমাধানের চেষ্টা করেন। এছাড়াও পঞ্চায়েত সদস্য হয়ে বাকি অন্যান্য সমস্ত কাজ তিনি সামাল দিচ্ছেন নিজের ক্ষুদ্র পেশা বজায় রেখেই। পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব হালদার বলেন, “২০ বছর ধরে মাছ বিক্রি করছি। আমার এলাকার মানুষ যেন ভাল পরিষেবা পায় তার জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম। দুইবার জয়ী হয়ে পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছি। মাছ বিক্রির সঙ্গেই মানুষের কাজ করছি। মাছ বিক্রি আমার পুরনো পেশার তাই ছাড়েনি।”
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচনী গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব হালদার। তিনি ভোটে জিতে পরপর দুইবার পঞ্চায়েত সদস্য হয়েছেন। তবে পঞ্চায়েত সদস্য হলেও নিজের মাছ বিক্রির পেশা বহাল রেখেছেন তিনি। গত ছয় বছর ধরে মাছ বিক্রির সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন পঞ্চায়েত সদস্যের সমস্ত কাজকর্ম। সকালে এক দিকে যেমন অন্যান্য মাছ বিক্রেতাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাছ বিক্রি করছেন। পাশাপাশি হঠাৎ কেউ বাজারের মধ্যেই কোন দরকারে তার সঙ্গে দেখা করতে আসলে কথা বলছেন শুনছেন তার সমস্ত সমস্যার কথা। স্কুল কলেজ পড়ুয়ারা বাজারে এসে শংসাপত্র চাইলে সঙ্গে সঙ্গে দিয়ে দিচ্ছেন সেখানেই। এই ভাবেই সমান তালে তাল মিলিয়ে সামলাচ্ছেন তিনি গুরুত্বপূর্ণ জনপ্রতিনিধির পদ।
আরও পড়ুন: পৃথিবীতেই নেই আর এই ব্যক্তি! নাম উঠল আবাস যোজনা তালিকায়! শোরগোল, ভয়াবহ কাণ্ড
ভোর চারটায় উঠে শুরু হয় তাঁর লড়াই। বাজারে মাছ বিক্রি শুরু করেন। সেই ভিড়ের মধ্যে কেউ এসে শংসাপত্র চাইলে সেখানে বসেই সঙ্গে সঙ্গে লিখে দেন। সাধারণ মানুষের বিভিন্ন দরকারি কাগজেও স্বাক্ষর করেন মাছ বিক্রি করতে করতেই। হবিবপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য পীযূষ মন্ডল বলেন, “বুলবুল চান্ডিগ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য জয়দেব হালদার সত্যি উদাহরণ। তিনি মাছ বিক্রির সঙ্গে সাধারণ মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি ব্যতিক্রমী মানুষ।” তার এমন ব্যতিক্রমী জনপ্রতিনিধিত্ব যথেষ্ট প্রশংসা করিয়েছে গোটা এলাকায়। তিনি যে সত্যিকারে মানুষের সঙ্গে পাশে রয়েছেন তার প্রমাণ মিলে তাঁর কাজেই।
হরষিত সিংহ