এ যেন সিনেমার চিত্র নাট্য। তবে সত্যি মালদহ শহরে এক চা বিক্রেতার সঙ্গে কয়েক বছর ধরে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বেজিদের। চা বিক্রেতা আবার আদর করে তাদের নাম দিয়েছে। কারো নাম, ফুচু কারো নাম ঢলু এমন বিভিন্ন নামে বেজিদের ডেকে প্রতিদিন খাওয়ার দিচ্ছেন চা বিক্রেতা বাবলু কর্মকার। মালদহ শহরের মহানন্দা নদীর তীরে শুভঙ্কর বাঁধ। সেখানে পুলিশ লাইন এলাকায় বাঁধের উপর চা বিক্রি করেন বাবলু কর্মকার।
advertisement
দোকান লাগোয়া রয়েছে একটি টিনের সেড। সকাল হলেই দেখা যায় বেজিদের ডেকে কখনও কেক আবার কখনও মুরগির মাংসের টুকরো খাওয়ান বাবলু বাবু। চা বিক্রেতা বাবলু কর্মকার বলেন, ছোট বড় মিলিয়ে ২৩ টি বেজি রয়েছে সেখানে। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের খাওয়াচ্ছি। অনেক লোক আছে এদের দেখতে। আমার খুব ভাল লাগে। বেজিদের নাম পর্যন্ত দিয়েছি আমি।
প্রতিদিন নিয়ম করে তাদের খাওয়ার দেন তিনি। এর পাশাপাশি ওই এলাকাতে অন্যান্য জায়গাতেও রয়েছে বহু বেজি। কোন বেজি মারা গেলে প্রচন্ড দুঃখ হয় তার। জেলা পুলিশ লাইন, পুরোনো হাসপাতাল চত্বরসহ জেলা খানার পেছনে তাঁর এই রকম অস্তানা রয়েছে। যেখানে তিনি নিয়মিত গিয়ে বেজি ডেকে ডেকে খাবার দেন। সময় কাটান তাদের সঙ্গে। কেউ অসুস্থ হলে বেজিদের পরিবারের নতুন সদস্যের জন্ম হলে সমস্ত খোঁজ খবর রাখেন বাবলু কর্মকার। এক কথায় তিনি বেজিদের বন্ধু হয়ে উঠেছেন।
আরও পড়ুনঃ KKR News: কেকেআর নিচ্ছে ৫ ভারতীয় বোলারকে! পেস ও স্পিন বিভাগে মেগা চমক!
চা বিক্রি করতে করতে বেজিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বাবলু কর্মকারের। বিগত কয়েক বছর ধরেই খাবার দিতে দিতে এই বন্ধুত্ব ।প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় বহু মানুষ প্রাতঃভ্রমণ ও সান্ধ্যভ্রমণ করেন মহানন্দার বাঁধে। বিষয়টি জানতে পেরে বহু প্রাতঃভ্রমণকারী কেক খাওয়ান বেজিদের। তবে নিয়ম করে বেজিদের নাম ধরে ডেকে সকাল সন্ধ্যা রকমারী খাওয়ার খাইয়ে বেজিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন পেশায় চা বিক্রেতা বাবলু বাবু।
হরষিত সিংহ





