নার্সিংহোমে রোগীর অপারেশন করার আগে আবারও রক্তের নমুনা নির্ণয় করা হয়। সেই সময় আবার অন্য গ্রুপ নির্ণয় হয়। ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও নার্সিংহোমের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ভিন্ন ভিন্ন হয়। যা নিয়ে রীতিমত সমস্যায় পড়েন রোগীর আত্মীয় থেকে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
পরে যদিও প্রমাণ হয় নার্সিংহোমে নির্ণয় করা রক্তের গ্রুপ সঠিক। তারপরেই অপারেশন হয় রোগীর। বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন তিনি। চিকিৎসা করার পরেই ভুল রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করার অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুন- সাতসকালে পুকুরের মধ্যে ভাসছে ওটা কী! কাছে যেতেই চোখ কপালে উঠল স্থানীয়দের
ইতিমধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দফতর, জেলা প্রশাসন-সহ একাধিক দফতরে মালদহ শহরের ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগকারী মোঃ জিন্না আব্দুল্লা ফিরদৌস বলেছেন, মালদায় বেসরকারি ডায়াগনিস্টক সেন্টারে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ভুল করেছিল। রামপুরহাটে অপারেশন করাতে গিয়ে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। সেখানেও আমার রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়। তারা সঠিক করেছিল। এইভাবে ভুল চিকিৎসার আমি সঠিক বিচার চাই। তাই জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।
মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ জিন্না আব্দুল ফিরদৌস। তাঁর ইউরিন ব্লাডারে স্টোন হয়। মালদহ শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে বর্হি বিভাগে চিকিৎসককে দেখান। চিকিৎসক তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা করার জন্য বলেন। সঙ্গে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করার বিষয়টিও ছিল।
ওই বেসরকারি নার্সিংহোমের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিনি পরীক্ষাগুলি করান। একদিন পরে সমস্ত রিপোর্ট দেয়। মহম্মদ জিন্না আব্দুলা ফিরদৌসের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজেটিভ নির্ণয় হয়।
তার পরেই তিনি সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে রামপুরহাটে চলে যান। সেখানেই তার অপারেশন করান ওই চিকিৎসক। সেখানে গিয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ আবারও রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে। রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজিটিভ আসে। এই নিয়েই তৈরি হয় বিভ্রান্তি।
আরও পড়ুন- লকডাউনই বদলে দিয়েছে জীবন, অফিসকর্মী থেকে তিনি আজ বড় শিল্পী…
যদিও পড়ে প্রমাণিত হয় ‘বি’ পজিটিভ সঠিক রক্তের গ্রুপ ওই ব্যক্তির। অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে ‘বি’ পজিটিভ রক্তই দেওয়া হয়। সেখান থেকে চিকিৎসা করিয়ে ফিরে এসে মালদহের ওই ডায়াগনিস্টক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
হরষিত সিংহ