শ্যামার বানানো পুতুলগুলি অন্যান্য কাঠের পুতুলের থেকে একটু আলাদা। তার তৈরি কাঠের পুতুলগুলিতে সুন্দর দেখতে জামা কাপড় পরানো। কেউ বাউল গান গাইছে, কোথাও বর-কনে আবার কোথাও রাধা কৃষ্ণ।হাতের কাজ এত নিখুঁত যে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। শ্যামার কথায়, ‘পুতুল যে শুধু খেলার সামগ্রী তা নয় বরং পুতুল একটি বিশেষ অঞ্চলের সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং সমাজ ভাবনার চিহ্ন বহন করে। তাই আমরা চেষ্টা করছি যেন আমাদের বাংলার সব ধরনের সংস্কৃতি তুলে ধরতে পারি সকলের কাছে।’তিনি আরও জানান, তাদের তৈরি পুতুলগুলো চাহিদা বাংলায় তো বটেই, অন্যান্য রাজ্যে ও প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
advertisement
কাঠের পুতুল কিনতে এসে বিপ্লব রায় বলেন, ‘এই ধরনের পুতুল আর এখন দেখা যায় না। এখন বাড়িতে প্লাস্টিকের খেলনা এসব দিয়েই মানুষ এগুলির কথা এখন ভুলে গিয়েছে। তবে এই পুতুলগুলি দেখে আমার ভীষণ ভাল লাগল৷ আমার নাতনির জন্য আমি এক জোড়া পুতুল এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছি।’ আধুনিক প্রজন্মের শিশুদের হাতে পুতুলের বদলে অন্য খেলা উঠলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পুতুলকে কেন্দ্র করে উৎসব পালন করা হয়ে থাকে। পুতুল সংস্কৃতি আজ হারাতে বসেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে শ্যামা দেবীর এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানতেই হয়।