অন্যান্য মিষ্টির থেকে কনসাট খেতে সম্পূর্ণ আলাদা। ধীরে ধীরে মালদহেও কানসাটের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাংলাদেশের গ্রামের নামের এই মিষ্টির এখন এপার বাংলাতেও ব্যাপক চাহিদা। মিষ্টি বিক্রেতা বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, “আমার ঠাকুরদা প্রায় ৬৫ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে মালদহে আসেন। তিনি বাংলাদেশের কনসাট গ্রামে মিষ্টি তৈরি করতেন। এখানে এসেও মিষ্টির দোকান করেন। আমাদের দোকানে এখনো কনসাট পাওয়া যাচ্ছে। এই মিষ্টি বর্তমানে মালদহের বিখ্যাত। তবে বাংলাদেশের গ্রামের নামই এই মিষ্টির নাম কনসাট।”
advertisement
সময়ের সঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন সামগ্রীর দাম। তাই বাধ্য হয়ে বিক্রেতাদেরও এখন কানসাট মিষ্টির দাম বৃদ্ধি করতে হয়েছে। বর্তমানে মালদহ শহরের বাজারে ১৫ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি হয় এই মিষ্টি। কোনও কোনও দোকানে ১০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টির আকারের উপর নির্ভর করে দাম। শুধু মালদহ জেলাতেই সীমাবদ্ধ নেই এই মিষ্টি য বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা. এমনকি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এই মিষ্টি যায় মালদহ থেকে। এখনও মালদহ শহরে পুরনো কয়েকটি দোকান রয়েছে। যে সমস্ত দোকানগুলিতে ভাল মানের কনসাট পাওয়া যায়। মিষ্টির কারিগর গৌড় দাস বলেন, “ছানা ময়দা দিয়েই তৈরি হয় মিষ্টি। মিষ্টি তৈরি হয়ে গেলে প্রায় ২৪ ঘণ্টায় ঠান্ডা করা হয় তারপর মিষ্টির ওপর ক্ষীরের প্রলেপ দেওয়া হয়। এই ভাবেই কানসাট তৈরি করা হয়।”
আরও পড়ুন: দারুণ সুখবর! এবার সময় বাঁচাবে ট্রেনযাত্রীদের, যাতায়াতেও মিলবে বিরাট সুবিধা
আরও পড়ুন: শীতের ছুটির দিনে ঘুরতে যান রাজবাড়ি পার্কে! সকলের সঙ্গে মজায় কাটবে একদিন
কী ভাবে তৈরি হয় এই মিষ্টি? অন্যান্য মিষ্টির মতোই ছানা এবং ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয় মিষ্টি। তারপর চিনির রসের মধ্যে ফোটানো হয়। মিষ্টি তৈরি হয়ে গেলে ২৪ ঘণ্টা ঠান্ডা করার জন্য সেই রসের মধ্যে ডুবিয়ে রাখা হয়। তারপর মিষ্টি তুলে নেওয়া হয়। ওই ঠান্ডা মিষ্টির উপর ক্ষীরের প্রলেপ দেওয়া হয়। এই ভাবেই তৈরি হয় কানসাট।
বর্তমানে মালদহে তৈরি কনসাট ও বাংলাদেশের তৈরি কনসাটের মধ্যে স্বাদে ফারাক রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি কনসাট বেশি মিষ্টি। তুলনায় মালদহে তৈরি কানসাট মিষ্টি একটু কম। এই কারণে মালদহে তৈরি কনসাটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বর্তমানে।
হরষিত সিংহ





