রোজ বিকেল হলে তোর্ষা নদীতে জল খেতে আসে হাতির দল। সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীর পাড়েই ঘুরতে দেখা যায় হাতির দলটিকে। এরপর রাত হলেই জঙ্গল পেরিয়ে ক্ষেতে ঢুকে পরে হাতিগুলি। রাতভর চলে তান্ডব। হাতি হানা দিয়ে ক্ষতি করছে এলাকার কৃষকদের ভুট্টা ক্ষেত ও ধান ক্ষেত। স্বাভাবিকভাবে মাথায় হাত কৃষকদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
advertisement
আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ব্লকের পশ্চিম মাদারিহাট এলাকায় হানা দেয় রোজ একপাল হাতি। হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার কারো চার বিঘা ভুট্টা ক্ষেত। আবার কারো দুই বিঘা ধান ক্ষেত। ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে এরাজুল মিয়া জানান, “যখন ভাবি হাতির অত্যাচার কমেছে, তখনই নতুন করে শুরু হয় হাতির উপদ্রব। জলদাপাড়া জঙ্গল থেকে ১৫ থেকে ২০টি হাতির একটি দল ভুট্টা খেতে হানা দেয় রোজ। আমরা কিছুই করতে পারিনা।”
আরও পড়ুন: ছাত্রীরাই মাথায় তুলে নিয়েছে গুরু দায়িত্ব! সফল হতে পারলেই বদলে যাবে সমাজ, চলছে লড়াই
জানা গিয়েছে, হাতির হানায় এলাকার ১৪ জন কৃষকের বিঘার পর বিঘা ভুট্টা ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে জলদাপাড়া বন বিভাগের কর্মীদের জানিয়ে কোন লাভ হয় না। এলাকায় দেখা মেলে না র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স-এর। কৃষকদের অভিযোগ বনকর্মীরা সময়মত আসলে এত ক্ষতি হয়না। এই বিষয়ে জলদাপাড়া বন বিভাগের আধিকারিকরা মুখ খুলতে না চাইলেও জানা যায়, জলদাপাড়ার মত বড় জঙ্গলের এলাকায় বনকর্মীদের টহল রোজ চলে। হাতির সংখ্যা বেড়েছে এলাকায়। যার ফলে এই হাতিগুলির গতি প্রকৃতি বুঝতে গিয়ে সমস্যা বাড়ছে বন বিভাগের অন্দরে।
Annanya Dey





