মানুষের কাছে থালাবাটি, ঘটি, বালতি ইত্যাদি নানা রকমের কাঁসার বাসন ছিল প্রাথমিক পছন্দ। যদিও বর্তমান আধুনিক যুগের বিভিন্ন রকম প্লাস্টিক, ফাইবার ও স্টিল জাতীয় পাত্রের দাপটে চাহিদা কমেছে কাঁসার পাত্রের।
বাড়িতে সাজিয়ে রাখা এবং শখ করেও এই কাঁসার পাত্র কিনতেন অনেকে। আবার অনেকের মতে এই কাঁসার পাত্রে খাবার খেলে শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন: মালদহ, মুর্শিদাবাদের ভাঙ্গন রুখতে রিপোর্ট তৈরির কাজ শুরু, অর্থ দেবে কে? কেন্দ্রের সাহায্য?
আজও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের খাওয়া-দাওয়া রান্না করার ক্ষেত্রে কাঁসার পাত্র লক্ষ্য করা যায়। কাঁসার পাত্রে রান্না করলে খাবারে আম্লিকভাব কমে। পাশাপাশি এই বাসনে রান্না করা খাবার হজমেও সহায়তা করে বলে অভিমত চিকিৎসকদের। তবে গুন উপকারিতা থাকলেও কদর কমেছে এই কাঁসার পাত্রের। মেশিনের সাহায্যে তৈরি সামগ্রীর চাহিদা বেড়েছে বাজারে। তাছাড়া কাঁসা পিতলের বাসন মানুষ আর সেই ভাবে ব্যবহার করছেন না। তাই বিক্রিও অনেক কমেছে আগের থেকে।
আরও পড়ুন: প্রবল বৃষ্টিতে অঘটন! ডুয়ার্সে হড়পা বানের তাণ্ডব, পাহাড়ি নদীতে তলিয়ে গেল আস্ত ট্রাক্টর!
বাজারে কাঁসা শিল্পের চাহিদা কমায় বদলেছেন অনেকে ব্যবসা। তবে আজও মালদহের ইংরেজবাজার শহরের দুর্গাবাড়ি মোড় এলাকায় কাঁসার পাত্র তৈরি করেন কংসবনিক সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকটি পরিবার। বর্তমানে এই কাঁসা শিল্পই রোজগারের একমাত্র ভরসা তাদের। তাই বাজারে চাহিদা কমলেও পেটের দায়ে আগুনের তাপ কে উপেক্ষা করে আজও ছাঁচ মেশিনের মাধ্যমে তৈরি করছেন নিত্যনতুন ডিজাইনের কাঁসার পাত্র।