সর্বভারতীয় জয়েন্ট এডমিশন টেস্ট ফর মাস্টার্স পরীক্ষায় নজরকাড়া ফল করে চমক দিল মালদহের প্রত্যন্ত গ্রামের মাছ বিক্রেতার ছেলে দিব্যেন্দু চৌধুরী। বাড়ির আর্থিক অবস্থা শোচনীয় থাকা সত্ত্বেও বাবা-মায়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় কলকাতায় পড়াশোনার পর খড়গপুর আইআইটি তে পড়াশোনার সুযোগ হল মালদহের প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে দিব্যেন্দু চৌধুরীর। আগামীতে আর্থ সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে তার। তার এমন সাফল্যে খুশির হাওয়া দেখা দিয়েছে পরিবার সহ গোটা গ্রামে।
advertisement
সর্বভারতীয় জয়েন্ট এডমিশন টেস্ট ফর মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র দিব্যেন্দু চৌধুরী বলেন, “গ্রামেরই সাতটারি হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক দেওয়ার পর শহরে মালদা টাউন হাই স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করি। এরপর ফিজিক্স অনার্স নিয়ে কলকাতার বিধাননগর গভর্নমেন্ট কলেজে পড়াশোনা সুযোগ হয়। কলেজে পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরপরই আইআইটির জন্য সর্বভারতীয় জয়েন্ট এডমিশন টেস্ট ফর মাস্টার্স পরীক্ষায় বসি। প্রথম প্রচেষ্টাতেই আইআইটি খড়গপুরে পড়াশোনার সুযোগ হয়েছে। খুব ভাল লাগছে বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ হবে এবার।”
আরও পড়ুন: বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই দক্ষিণবঙ্গে, ২৪ জুলাই থেকে নতুন বিপদ! আবহাওয়ার বিরাট আপডেট
দিব্যেন্দুর মা ঊষা চৌধুরী বলেন, “ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিল ছেলে। রাতের সময় বেশি করে পড়াশোনা করতে ভালবাসত সে। স্বপ্ন ছিল ছেলেকে আইআইটির মত কোনও বড় জায়গায় পড়াশোনা করানোর আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।”
মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের সাতটারি গ্রামের ছেলে দিব্যেন্দু চৌধুরী। পরিবারের রয়েছেন বাবা-মা এবং এক বোন। বাবা দেবাশীষ চৌধুরী পেশায় একজন মাছ বিক্রেতা, মা ঊষা চৌধুরী গৃহবধূ। দীর্ঘদিন কষ্ট করে ছেলেকে পড়াশোনা করানোর পর আজ সফলতা যেন বাড়ির দ্বরগড়ায়। সব রকম আর্থিক প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে অবশেষে আইআইটি খড়গপুরে পড়াশোনার সুযোগ হয়েছে দিব্যেন্দু চৌধুরীর। তার এমন সফলতা অনুপ্রেরণা জোগাবে সকলকে।
জিএম মোমিন।