তবে শুধু মহিলা ঢাকি হিসেবে নন, এবার তারা মানুষদের অতিরিক্ত আনন্দ দিতে শিখেছে ব্যালেন্সের খেলাও। ঢাক বাজাতে বাজাতেই মাথায় একটি দুটি নয়, প্রায় চারটি ঘট নিয়ে ব্যালেন্স করতে করতেই বাজাবে ঢাক। যা কিনা ইতিমধ্যেই তাক লাগাচ্ছে স্থানীয় মানুষদের। তবে মহিলা ঢাকিয়া জানাচ্ছেন, মেয়েরা আজ যেমন সর্বক্ষেত্রেই ব্যালেন্স করে চলছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তারাও নতুনত্ব কিছু বেশি দিতেই এই অভিনব উপায় বার করেছেন। তবে অঞ্জনা দেবী সহ এই মহিলা ঢাকীদের দল পুরো কৃতিত্বটাই দিচ্ছেন তাদের শিক্ষক তথা অঞ্জনা দেবীর ভাই সজল নন্দি কে। সজল নন্দির উদ্যোগেই আজ অশোকনগর কল্যাণগড়ে মহিলা ঢাকির দল তৈরি হচ্ছে শারদ উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট ছোট দলে ছড়িয়ে পড়তে। শুধু জেলায় নয়, জেলার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ম জায়গায় ঢাক বাজানোর ডাক আসছে এই মহিলা ঢাকিদের। সজল বাবু জানালেন, ভিন রাজ্য থেকেও এবার ডাক এসেছে মহিলা ঢাকিদের পুজোয় বাজানোর জন্য।সজল বাবু এই মহিলাদের ঢাকের প্রশিক্ষণ নিতে কোন গুরি দক্ষিণা নেন না। উল্টে দলের মেয়েদের বাড়ি ফেরার টোটো ভাড়াও নিজেই দিয়ে দেন পকেট থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন : শরৎচন্দ্রের উপন্যাসের শ্রীনাথ বহুরূপীদের বাস্তবের গ্রাম হুগলির জোৎসম্ভু
আরও পড়ুন : পুজোর ছুটিতে ইতিহাসের সাক্ষী হতে ঘুরে আসুন নবাবের শহর মুর্শিদাবাদ
নাট্য পাড়ার সজল নন্দীর একটাই উদ্দেশ্য, মহিলারা আজ স্বনির্ভর হোক। তিনি যা শিখেছেন, তার সেই শিক্ষা যেন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারেন। তাহলেই তার শিক্ষার স্বার্থকতা বলে মনেকরেন সজল বাবু। অঞ্জনা নন্দী, সজল বাবুদের পরিবারে দীর্ঘদিন ধরেই গান, বাজনার চর্চা রয়েছে। তাই অঞ্জনাদেবী এই রাজ্যের একমাত্র সানাইবাদক হয়েও থেমে থাকেনি। ঢাক, ঢোল, খোল সহ সহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রই আজ তার রপ্ত। বর্তমানে নিজে একটি মহিলাদের ব্যান্ডও তৈরি করেছে। আগামী দিনে আরও নতুন কিছু করার ইচ্ছা রয়েছে একজন মহিলা হিসাবে, বলেই জানালেন অঞ্জনা নন্দী। তবে, শারদ উৎসবে এবছর বিশেষ চমক দিতে তৈরি মহিলা ঢাকিদের দল।






