একই সাথে বিপুল কর্মসংস্থান হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে দেবাশিস সেন বলেন, আমরা সবরকম সহযোগিতা করছি। খুব তাড়াতাড়ি ওরা বিল্ডিং নির্মানের কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছে। এক যুগের বেশি সময় ধরে জমি হাতে পেলেও নিউটাউনে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মানের জন্য এতদিন গড়িমসি করছিল তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো। কবে এই সংস্থা কাজ শুরু করবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল সর্বস্তরে। প্রায় বারো বছর অপেক্ষার পর এপ্রিলে বিশ্ববাংলা শিল্প সম্মলনে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছিল উইপ্রো কর্তৃপক্ষ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতির মাধ্যমে ড্রোন উড়িয়ে প্রশিক্ষণ
নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারের মঞ্চে দাঁড়িয়ে উইপ্রোর একজিকিইউটিভ চেয়ারম্যান রিশাদ প্রেমজি ঘোষনা করেছিলেন আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তাঁরা নিউ টাউনে কাজ শুরু করবেন। এজন্য কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগ করবেন তাঁরা। এই প্রকল্প চালু হলে হাজার হাজার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর কর্মসংস্থান হবে। বাম আমলে ২০০৯ সালে নিউটাউনের একশন এরিয়া তিন এ চাঁদা কাঁঠালবেড়িয়া মৌজাতে ৫০ একর জমি দেওয়া হয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা উইপ্রো কে। ৭৫ কোটি টাকার বিনিময়ে ৫০ একর জমি পায় উইপ্রো। ঠিক হয় ৯৯ বছরের জন্য লিজ পাওয়া জমির ৭৫ শতাংশ জায়গা জুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি বা সেই সম্পর্কিত কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অপারেশন পুলিশের! জালে ৬ দুষ্কৃতী
২০১০ সালে উইপ্রো জমি লিজের প্রথম কিস্তি হিসাবে ১৮.৯ কোটি টাকা দেয় হিডকো কে। এরপর রাজ্যে পালাবদল হলে ২০১৪ সালে তৃণমূল সরকারের আমলে বকেয়া ৫৮.৯ কোটি টাকা দেয় হিডকো কে। যদিও সব টাকা পরিশোধ করলেও কাজ শুরু করতে গড়িমসি করে উইপ্রো। উইপ্রোর পাশে জমি পায় আরও দুটি বড় সংস্থা ইনফোসিস ও আইটিসি ইনফোটেক। ওই দুটি সংস্থা কাজ শুরু করলেও নীরব থাকে উইপ্রো। স্পেশাল ইকনোমিক জোন বা এসইজেডের দাবি তুলে কাজ বন্ধ রাখে উইপ্রো। সরকার পরিষ্কার জানিয়ে দেয় এসইজেডের মত সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে কিন্তু এসইজেড করা যাবে না।
২০২০ সালের মাঝামাঝি ঠিক হয় উইপ্রো ও ইনফোসিসকে লিজহোল্ডের পরিবর্তে ফ্রিহোল্ড দেওয়া হবে। এর ফলে তারা মোট জমির ৪৯ শতাংশ জায়গা জুড়ে নন আইটি অর্থাৎ আইটির সঙ্গে সম্পর্কিত নয় এমন কিছু শিল্প করতে পারবে। অনেক আগেই এ রাজ্যে সল্টলেক সেক্টর ফাইভে তাঁদের প্রথম ক্যাম্পাস তৈরি করে উইপ্রো। যেখানে ইতিমধ্যেই এগারো হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে বিশ্ব বাংলা শিল্প সম্মেলনে জানান উইপ্রো কর্তা। সূত্রের খবর, রাজারহাট নিউটাউনে নতুন ক্যাম্পাসের জন্য প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে উইপ্রো। শুরুতে এখানে পাঁচশো সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার কাজ পেলেও ভবিষ্যতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কয়েক হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে।
Rudra Narayan Roy