উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের হংকং নামে একটি উদ্যানে শোভা পাচ্ছে এ নারিকেল। যা ভিয়েতনামি নারিকেল হিসেবে পরিচিত। এই গাছ প্রচলিত নারিকেল গাছের তুলনায় উচ্চতায় অনেক খাটো, ফলনও বেশি হয়। তবে আপনি বাড়ির বাগানের শোভা বৃদ্ধির পাশাপাশি অল্প সময়ে অধিক নারকেল পেতে এই নারকেল গাছের চারা চাষ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: কুকারে কিছু রাঁধতে হলে কতটা জল দিতে হয়? উথলে পড়া আটকাতে জানুন সঠিক পদ্ধতি!
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটের হংকং পার্কের উদ্যোক্তা অমিনুর ইসলাম তার ৬০ বিঘা জমির মধ্যে কয়েক বিঘা জমিতে এই নারেকেল গাছের চাষ করেছেন। ভিয়েতনামের এই জাতের নারকেল গাছ। তিনি ভিয়েতনাম থেকে বাংলাদেশের মাধ্যমে এদেশে কাজ শুরু করেছেন। একই সঙ্গে তিনি যেমন ডাব এবং নারকেলের ফলন করছেন তেমনভাবে তিনি নতুন চারা তৈরি করে বিক্রিও করছেন। ফলে তার লাভ হচ্ছে দুইভাবে, ফল ও চারা বিক্রি করে।
আরও পড়ুন:
এই নারিকেল গাছের চাষ করে স্বনির্ভর হতে যোগাযোগ করতে পারেন বসিরহাট শহর থেকেই মাত্র ২ কিলোমিটার দূরত্বের হংকং উদ্যানের উদ্যোক্তা হাজি আমিনুর ইসলামের সঙ্গে। আমিনুর ইসলাম বলেন, ‘এই জাতের গাছ অল্প জমিতে বেশি পরিমাণে চাষ করা সম্ভব এবং অনেক বেশি হয়। পাশাপাশি গাছের চারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিক্রি হচ্ছে। এই জাতের নারকেল গাছ চাষ করে মাসে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব।”
আরও পড়ুন: সারাদিন এসি চললেও, হুহু করে কমবে বিদ্যুতের বিল! দারুণ সস্তা! অফার জানুন
এজাতের চারা রোপণের জন্য গর্তের মাঝখানে নারিকেল চারা এমনভাবে রোপণ করতে হবে যাতে নারিকেলের খোসা সংলগ্ন চারার গোড়ার অংশ মাটির ওপরে থাকে। প্রধানত লবণাক্ত মাটিতে নারিকেল গাছের ভাল ফলন হলেও এজাতের গাছ সব প্রকার মাটিতেই সম্ভব। তবে নিয়মিত জলের পাশাপাশি গোবর সার অথবা আবর্জনা পচা সার দিতে হবে। দ্রুত বর্ধনশীল খাটো জাতের এই নারিকেল গাছে ২০-২২ মাসের মধ্যেই ফুল চলে আসে এবং তিন বছরের মাথায় ফল আসে এবং পরিপূর্ণ হতে থাকে। এই নারিকেল খেতে অনেকটা দেশি নারিকেলের মতই, স্বাদে-গন্ধে, আকার ও পুষ্টিমানে একদম চমৎকার একটি নারিকেলের জাত।
জুলফিকার মোল্যা