কিন্তু জায়গা খালি না করায় মঙ্গলবার রেল প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে জবরদখল জমি উচ্ছেদে আসেন রেল অধিকারিকরা। অভিযোগ, বস্তিবাসীরা উচ্ছেদে বাধা দেন। রেল পুলিশের সামনে চলে অবস্থান বিক্ষোভ। এমনকি জবরদখল মুক্ত করার জন্য জেসিবি মেশিন আনা হলেও, সেই জেসিবিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বস্তি এলাকায়। ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। পুজোর আগে এভাবে বস্তি উচ্ছেদ করলে পথে বসতে হবে কয়েকশো পরিবারকে বলে জানানো হয় স্থানীয়দের তরফ থেকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুর্দান্ত নজির! কি এমন করল বারাসত হাসপাতাল! জেনে নিন...
বিগত বহু বছর ধরেই তারা এই এলাকায় বসবাস করছেন বলে দাবি। তবে সঠিক পুনর্বাসনের পাশাপাশি ঘরের বদলে ঘর দেওয়ার দাবি জানান ওই এলাকার স্থানীয় বস্তি বাসিরা। ভেঙে পড়েন কান্নায়ও। বিক্ষোভকারীদের দাবি, সঠিক পুর্নবাসন দিলে তবেই তারা রেল কলোনি ছেড়ে চলে যাবেন। জোর করে উচ্ছেদ করা যাবে না। এদিন প্রায় হাজারের উপর স্থানীয় রেল কলোনির মানুষ উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান। মহিলাদের দেখা যায় রাস্তার উপরই বসে পরে বিক্ষোভ দেখাতে।
আরও পড়ুনঃ রাস্তা সংস্কারে জমি জটিলতা, পুজোর আগে ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা!
স্থানীয় কাউন্সিলর অরিন্দম ভৌমিকের দাবি, বহু বছর ধরে এখানে ৩০০ থেকে ৩৫০ পরিবার বসবাস করছেন। ফলে, গায়ের জোরে বস্তি উচ্ছেদ করা যাবে না। বিকল্প জায়গায় বন্দোবস্ত করে দিলেই ওরা বস্তি ছেড়ে দেবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলপুলিশের বিশালবাহিনী। তবে, শেষ পর্যন্ত বস্তিবাসীদের বিক্ষোভে পিছু হটতে হয় রেল পুলিশকে। পুজোর আগে রেলের এ ধরনের একটি সিদ্ধান্তে উঠছে প্রশ্ন!
Rudra Narayan Roy