রাজ্যের একমাত্র পুরুষ নার্সিং ট্রেনিং কলেজের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের গলাকাটা সহ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছিল। মৃত ওই ছাত্রের নাম উদ্ধব সরকার, বয়স ২৫। দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের বাসিন্দা। ওই ছাত্র অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পাশে একটি মেস বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। মোট চারজন ছাত্র মিলে একত্রে থাকতেন। তার মধ্যে দুজন ছাত্র কয়েক দিন আগেই বাড়ি চলে যাওয়ায়, মৃত ছাত্র ও তার আরেক সহপাঠী ছিলেন মেসে। ঘটনা দিন রুমে তালা দিয়ে বিক্রম সরকার হটাৎই চলে যায়।
advertisement
এরপরই বাড়ির মালিকের সন্দেহ হওয়ায় দরজা ভেঙে খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনার পরই উচ্চপর্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠক সারেন জেলা পুলিশ সুপার। তারপরই পুলিশের বিশেষ দল অভিযুক্তকে ধরতে রওনা দেয় উত্তরবঙ্গে। সেখানে থেকেই গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্তকে। জিজ্ঞাসাবাদে সহপাঠীকে খুনের কথা স্বীকার করেছে বিক্রম বলেই জানা যায় পুলিশ সূত্রে। ঘটনার দিন বিকেলে অভিযুক্ত বিক্রম সরকারের পরিবার তুলে কটু কথা বলে উদ্ধব। তখন থেকেই রাগ নিয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার চিন্তাভাবনা আসে বিক্রমের। এরপরই ঘরে একা থাকার সুযোগে প্রথমে হাতুড়ি ও পরবর্তীতে ছুরি ব্যবহার করে এলোপাথারি কোপ বসায় উদ্ধবের শরীরে।
আরও পড়ুনঃ গোবরডাঙ্গা কলেজে সোনু ঝড়! জনজোয়ারে ভাসলেন বলিউড গায়ক
মৃত্যু নিশ্চিত করার পর দেহ রেখেই পালায় বিক্রম। এরপরই গঙ্গারামপুরে নিজের বাড়ি সহ আত্মীয়দের বাড়িতে আত্মগোপন করার চেষ্টা করে এমনকি হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ারও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল বলেই জানা গিয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অশোকনগর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে থানায়।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যে সেরা হয়ে, এবার দেশের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে গ্রাম বাংলার ছাত্র-ছাত্রীরা
অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতের পরিবারসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্রম সরকারের মা স্থানীয় শাসকদলের নেত্রী বলেও জানা গিয়েছে। বাবা বকুল সরকারের নামে পূর্বে একটি খুনের মামলা রয়েছে বলেও স্থানীয় সূত্রে খবর। বিক্রম কে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার দেওয়া বয়ানের সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে জেলা পুলিশের তরফ থেকে।
Rudra Narayan Roy