পেশায় শিক্ষক এই দুই ব্যক্তি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একজন জেলা পরিষদ এবং আরেকজন গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। আর পাঁচটি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা যেভাবে প্রচারে নেমেছেন, এই দু’জন তার থেকে একেবারেই আলাদা ভাবে সেরেছেন প্রচার। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বহুজন সমাজ পার্টির জোরালো সংগঠন থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে সেভাবে সংগঠন গড়ে ওঠেনি। তাতে অবশ্য আক্ষেপ নেই এই দুই প্রার্থীর। তাঁরা চান, মানুষ বাবা সাহেব আম্বেদকরের আদর্শ জানুক, তাঁকে ভালোবাসুক। তাই, ভোটে জেতার জন্য নয়, তারা এই আদর্শকে প্রচার করার জন্যই ভোটের ময়দানে নেমেছেন বলেও জানান। নির্বাচনী প্রচারে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি যেখানে কর্মীদের নিয়ে প্রচার সেরেছেন, সেখানে দাঁড়িয়ে মাত্র একজন সঙ্গীকে নিয়ে বাবা-ছেলে কে দেখা গেল শেষ মুহূর্তের ভোট প্রচারের।
advertisement
আরও পড়ুন: আর অপেক্ষা নয়, বৃহস্পতিতেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন মমতা! হবে অপারেশন
আরও পড়ুন:মলয়ের পথ ধরলেন সায়নী, চিঠিতে উল্লেখ সেই ‘একই কথা’! সকলকে চমকে দিলেন তৃণমূল নেত্রী
ঠাকুরনগর স্টেশনে হাতে বহুজন সমাজবাদী পার্টির পতাকা নিয়ে তিনজনকে ভোট প্রচার করতে দেখা গেল। বিষয়টি নিয়ে জেলা পরিষদের প্রার্থী জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস(বাবা) জানালেন, ‘আমাদের লোকবল নেই। তাই প্রচারে লোক বের হচ্ছে না। কিন্তু আম্বেদকরের আদর্শকে পৌঁছে দিতে আমরা নিজেরাই প্রচার করছি। তাতে যদি দশটা ভোটও আসে, তাহলেও মনে করব এই দশজন মানুষ আম্বেদকরের আদর্শে বিশ্বাসী।’ জীবনকৃষ্ণ বাবুর ছেলে সব্যসাচী বিশ্বাস জানালেন, ‘ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম জাতীয় দল বহুজন সমাজবাদী পার্টি। যে স্বীকৃতি এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলেরও নেই। শুধু পশ্চিমবঙ্গে সাংগঠনিক জোর কম থাকায় আমরা প্রচারে লোক পাইনি।’ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বহুজন সমাজবাদী পার্টির হয়ে গাইঘাটা ব্লকে মোট পাঁচজন প্রার্থী লড়াই করছেন। দলের লক্ষ্য, শুধুমাত্র বি আর আম্বেদকরের আদর্শকে মানুষের সামনে তুলে ধরা। আর সেই লক্ষ্যেই লোকলষ্করহীন ভাবে গলায় বি আর আম্বেদকরের ছবি ঝুলিয়ে বাবা–ছেলে মিলে নিজেদের মতো করে শেষ মুহূর্তের ভোট প্রচার সারছেন তারা।
Rudra Narayan Roy