বিভিন্ন সময়ে রোগীর পরিজনদের হাতে আক্রান্ত হন চিকিৎসকরা। এক্ষেত্রে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ গায়ের হলে পুলিশ বিস্তারিত খতিয়ে না দেখে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে গ্রেফতার করেন বলে অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে নার্সিংহোমের চিকিৎসক ও সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা চিকিৎসকদের একাংশ ২০১৭ সালে প্রগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন নামে সংগঠনটি তৈরি করেন। সেই সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা শাখা এই প্রথম আলোচনা সভা আয়োজন করল বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাশাপাশি শুভেন্দু-ফিরহাদ! দেখা মমতার সঙ্গেও
উন্নত প্রযুক্তি সহ কীভাবে আরও ভাল চিকিৎসা পরিষেবা পেতে পারেন সাধারণ মানুষ সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নার্সিংহোম কীভাবে রোগীদের ভাল পরিষেবা দিতে পারবে, তাতেও কোন সমস্যা আছে কিনা সেই বিষয়গুলি নিয়েও অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রতিনিধিরা মত বিনিময় করেন। এছাড়া নার্সিংহোমগুলির পরিষেবা দিতে গিয়ে কোনও সমস্যা হলে তারা কী করবে, সরকারি স্তরে কোথায় যোগাযোগ করবে এ নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেন সংগঠনের রাজ্য চেয়ারম্যান।
এদিন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন হাবড়া পুরসভার পুরপ্রধান নারায়ণচন্দ্র সাহা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-১ প্রণব কুমার মজুমদার সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। প্রণববাবু বলেন, রাজ্যের সবথেকে বেশি নার্সিংহোম আছে উত্তর ২৪ পরগনাতে। রাজ্যের মধ্যে এই জেলাতেই সব থেকে বেশি নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা হয়। যে ছোট নার্সিংহোমগুলিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হয় না, তাঁরাও চাইলে এই সরকারি প্রকল্পে সামিল হতে পারেন বলে তিনি জানান।
রুদ্রনারায়ণ রায়