এরপর থেকেই প্রধান শিক্ষিকার ঘরে তালা ঝুলিয়ে তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটিতে রয়েছেন। স্কুল খুললেও ছাত্রীরা স্কুলে এসে দেখেন প্রধান-শিক্ষিকার ঘর বন্ধ এবং সেই ঘরেই রয়েছে যাবতীয় প্রয়োজনীয় অ্যাটেনডেন্স বুকসহ অন্যান্য জিনিস। শিক্ষা দফতরে জানিয়েও কোনো সুরাহা মিলছে না বলে দাবি অন্যান্য শিক্ষিকাদের। এদিন স্কুলে এসে স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট তোলার জন্য উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রীরা ভিড় জমালেও তা দেওয়া সম্ভব হয়নি।
advertisement
আর এর পরই ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্কুল চত্বরে। ফলে স্কুলের শান্ত পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপরই ছাত্রীরা বারাসাত পুরসভায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ছাত্রীদের অভিযোগ, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয় পরিত্যাগের শংসাপত্র না দেওয়ায়, এদিন তাদের বারাসাত পৌরসভায় আসতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে এসেও কোনো সুরাহা হয় নি। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করা হয় পুরসভার তরফ থেকে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন উচ্চমাধ্যমিক উত্তীর্ণ ছাত্রীরা।
আরও পড়ুন - Mahishadal Rath Yatra : ‘রথ দেখা কলা বেচা’ না এখানে হয় রথ দেখা কাঁঠাল বেচা, কাণ্ডটা ঠিক কী
অন্যান্য শিক্ষিকারা জানান এদিন তারা অ্যাটেনডেন্স বুক না পেয়ে সাদা পৃষ্ঠাতেই ছাত্রীদের অ্যাটেনডেন্স নথিভুক্ত করেছে। প্রধান-শিক্ষিকার ঘরের চাবি নিয়ে এসে ঘর খুলেও প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার করতে রীতিমত ভয় পাচ্ছেন শিক্ষা কর্মীরা। প্রধান শিক্ষিকা যখন তখন অভিযোগ তুলে থানার ভয় দেখান বলেও জানান সহ শিক্ষিকারা। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হলেও কোনো সমাধানসূত্র মেলেনি বলেই স্কুল সূত্রে খবর। এই পরিস্থিতিতে এখন ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না শিক্ষিকা থেকে অভিভাবকরা কেউই।
দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে, ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বড় আন্দোলনে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।বারাসাতের ঐতিহ্যবাহী স্কুলগুলির মধ্যে একটি এই কালী কৃষ্ণ স্কুলের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়টি জানতে পেরে ইতিমধ্যেই বারাসাত জুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। পরবর্তীকালে শিক্ষা দফতর কী সিদ্ধান্ত নেয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে ছাত্রীরা।
Rudra Narayan Roy