নিজের হাতেই বানান খেলনা। প্লাস্টিকের খেলনা গাড়ির তুলনায় এই হাতে তৈরি কাঠের গাড়ির যেমন নিরাপদ তেমনি টেকসই। প্লাস্টিকের গাড়িগুলি থেকে শিশুদের শরীরে শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও কাঠের গাড়ির ক্ষেত্রে তা থাকে না বলেই জানালেন বিক্রেতা। এখনও বহু মানুষ তাদের শিশুদের জন্য এই কাঠের গাড়ি কিনে নিয়ে যান। আর এই কাঠের গাড়ি বিক্রি হলেই তবে আর্থিক সংস্থান জোটে বিক্রেতা সুধীর দাসের। এভাবেই সংসার চালিয়ে মেয়ের বিয়ে দেওয়া থেকে ছেলেদের বড় করে তুলেছেন সুধীর বাবু।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যের বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ শুভেন্দুর, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি
অশোকনগর কল্যাণগড় এলাকায় জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে দর্শনার্থীদের ভিড়ের মাঝেই খেলনা গাড়ির পশরা নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেল সুধীর বাবুকে। তবে মেলায় বা অন্যান্য জায়গায় তেমনভাবে বিক্রি না হলেও, এই কয়েকদিন ভালোই বিক্রি হয়েছে বলেই জানালেন কাঠের খেলনা গাড়ি এই বিক্রেতা। কোনদিন বারোশো টাকা পর্যন্তও রোজগার করেছেন বলে জানালেন নিজে মুখেই।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাবলে বিনা প্ল্যানে বাড়ি করছেন কাউন্সিলর, তোলপাড় বর্ধমানে
তাই আধুনিকতার যুগে পুরনো দিনের কাঠের খেলনা গাড়ি অথবা আগুন দিয়ে জলে চলা ভুটভুটির কদর আজও তাই রয়ে গিয়েছে শৈশবে। কাঠের খেলনা গাড়ির পাশেই ভুটভুটি বিক্রি পশরা সাজিয়ে বসে থাকতে দেখা গেল রমেশ বিশ্বাসকেও। সামনে দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া হাজার হাজার মানুষের মধ্যে হঠাৎ-ই অনেকে থমকে দাঁড়াচ্ছেন সেই পুরনো খেলনার টানে। শিশুদের হাতে পুরনো স্মৃতির সেই খেলনা তুলে দিয়ে, নিজেরাও যেন কোথাও ফিরে যাচ্ছেন শৈশবে। এভাবেই মেলায় বা বিভিন্ন উৎসবে পুরনো ঐতিহ্য ধরে রেখে খেলনা নিয়ে পৌঁছে যান বিভিন্ন জায়গায়। আর এই খেলনা বিক্রি করেই উপার্জন থেকে চলে সংসার। এভাবেই খেলনা গাড়ির চাকা ঘুরলে তবেই চলে সুধীর বাবুর সংসার।
রুদ্র নারায়ন রায়