ঘটনাটি ঘটে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার কালুপুর এলাকায়। মৃত গৃহবধূ ইন্দ্রা সরকার। মৃতার ভাই বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ওঝাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরিবার সূত্রের খবর, তিন বছর আগে ওই মহিলার স্বামী আন্দামানে কাজে গিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করেও কোন খোঁজ পাননি স্ত্রী। শেষমেশ এলাকার এক ওঝার কাছে যান ওই গৃহবধূ। আর সেখানে গিয়েই জীবনের চরম পরিণতির শিকার হলেন তিনি। ওঝা তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে গৃহবধূকে লাগাতার গণধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। বাধা দিতে গেলে তাঁর পাঁচ বছরের ছেলেকে খুন করার ভয়ও দেখাতেন ওঝা। অপমানে আত্মঘাতী হন বনগাঁর ওই গৃহবধূ।
advertisement
আরও পড়ুন - সকালে মন্দিরে এসেই চোখ কপালে! প্রণামী বাক্সের তালা ভেঙে চুরি হাজার হাজার টাকা
পরিবারের দাবি, মৃত্যুর আগে ওই গৃহবধু চিঠি লিখে রেখে গিয়েছেন। তিন বছর আগে তাঁর স্বামী, ছোট সন্তান ও তাঁকে ফেলে আন্দামানে চলে যান। তারপর আর ফেরেননি। তাঁর খোঁজ পেতে প্রতিবেশী কয়েকজনের পরামর্শে সুকুমার দাস নামে এক ওঝার কাছে গিয়েছিলেন ইন্দ্রা দেবী। অভিযোগ, সুকুমার ইন্দ্রার স্বামীকে ফিরিয়ে আনবে বলে আশ্বাস দেয় গৃহবধূকে। এরপর থেকেই মাঝে মধ্যে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যেতেন ইন্দ্রা দেবীকে। প্রায় একবছর ধরে সুকুমার ও তার সাগরেদরা মিলে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন - Malda News: জল গরম করতে বসিয়ে অজান্তেই শাড়ির আঁচলে লেগে আগুন! সর্বনাশ হয়ে গেল
এরপর ইন্দ্রাদেবী সাধুর কীর্তি ফাঁস করে দিতে চাইলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। অভিযোগ, শুধু ইন্দ্রা দেবীরই নয়, তাঁর স্বামীর সর্বনাশ করে দেওয়ার হুমকি দেয় সুকুমার দাস ও তার সাগরেদরা। অবশেষে চাপ সহ্য করতে না পেরে তিনি কাগজে বিস্তারিত সব ঘটনার কথা লিখে আত্মহত্যা করেন। ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন এলাকাবাসীরা। যদিও এখনও বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত পলাতক বলেই জানা গিয়েছে।
Rudra Narayan Roy






