জানা গিয়েছে, নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা পরিচালিত ডাঃ বি সি রায় জেনারেল হাসপাতাল ও মাতৃসদনে এদিন মীরা চক্রবর্তী দেহ সংরক্ষণ করা হয়। পরে কলকাতা আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেহদান করা হয় বলে জানান, এই হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা হৃষিকেশ রায়।
বারাসতের বেসরকারি একটি হাসপাতালে মারা যান ৭৯ বছরের অবিবাহিত মীরা চক্রবর্তী। পরিবার সূত্রে জানাযায়, তাঁর বাড়ি নিউ বারাকপুর পুরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনী দত্ত রোডে। মীরা দেবী ও পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী দেহ দান করা হয় কলকাতা আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। গত সোমবার বিকেলে পুরসভার হাসপাতালে উদ্বোধন হয় পিস হেভেনের অনুকরণে তুষার শয্যা কক্ষের।
advertisement
আরও পড়ুন : দরিদ্র পরিবার থেকে বিজ্ঞানের উচ্চ গবেষণায়, গ্রামের মেধাবীর নামে রাস্তার নামকরণ
এরপরই, পুরসভার হাসপাতালে এই প্রথম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে দেহ সংরক্ষণ করা হল। চিকিৎসাশাস্ত্রের শিক্ষার কাজে দেহ ব্যবহার করা হবে বলে জানানো হয় হাসপাতালে তরফ থেকে। নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার তুষারশয্যার চার্জ ধার্য করা হয়েছে এক হাজার টাকা। দীর্ঘদিন ধরে নিউ ব্যারাকপুর এলাকার মানুষদের দাবি ছিল পিস হাভেনের। সেই দাবি মেনেই এই নির্মাণ। মৃত মীরাদেবীর ইচ্ছা অনুযায়ী তার মৃত্যুর পর দেহ দান করে নিউ ব্যারাকপুরের মানুষের কাছে এক সামাজিক বার্তা তুলে ধরেন মৃতার পরিবার।
আরও পড়ুন : জন্ডিস থেকে ডায়াবেটিস! এই রস-ই করবে বাজিমাত, জানুন বিশদে
মৃত্যুর আগে দেহ দান করবার অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন ৭৯ বছরের অবিবাহিত অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী মীরা চক্রবর্তী। ২০২০ সালে স্বাক্ষর করেছিলেন মৃত্যুর পর হাসপাতালে দেহ দান করার। মীরাদেবীর দেহদানের মধ্যে দিয়েই, নিউ ব্যারাকপুর পিস হেভন দেহ সংরক্ষণ করে এক অনন্য নজির গড়ে তুলল গোটা পুর এলাকায়, এমনটাই মনে করছে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ। এই পদক্ষেপের প্রশংসাও করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের তরফ থেকে।