তবে চোরাকারবারীরা বিপদের আঁচ করতে পেরেই পালিয়ে যায় ঘটনাস্থল থেকে। জানা যায় চোরা কারবারিরা মাছের ডিম ভর্তি প্যাকেট সহ পোষ্য গুলিকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। সেই সময় কর্তব্যরত জাওয়ানরা চোরাকারবারিদের সীমান্তের গতিবিধি আঁচ করতে পেরে ধাওয়া করেন। তখনই পাচার করা সব কিছু ফেলে অন্ধকার ঘন জঙ্গলের সুযোগ নিয়ে লুকিয়ে পরে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাত্র ২১-এই সব শেষ! নির্যাতনের জেরে বধূর মৃত্যু, শ্রীঘরে স্বামী
যদিও গোটা এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে কেউ ধরা না পড়লেও, উদ্ধার হয় দুটি রটউইলার প্রজাতির কুকুর, একটি হিমালয়ান পেরিসন বিড়াল এবং পাঁচ প্যাকেট মাছের ডিম ভর্তি ব্যাগ। পরবর্তীতে উদ্ধার হওয়া এই সকল জিনিস তুলে দেওয়া হয় তেতুলিয়ায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হাতে। উদ্ধার হওয়া মাছের ডিমের মূল্য আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে।
সব মিলিয়ে পাচার করা জিনিসের মূল্য এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা আনুমানিক বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সীমান্তে নজরদারি আটোসাটো করার কারণে সোনা রুপো এমনকি মাদকদ্রব্য পাচারের ক্ষেত্রেও বাঁধার সম্মুখীন হয়ে পড়েছেন পাচারকারীরা।
আরও পড়ুন: অটিস্টিক আক্রান্ত শিশুদের পাশে অভিনেতা নাইজেল, ‘চুপচাপ চার্লি’-তে দিলেন বিশেষ বার্তা
ফলে এখন নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করে অর্থ উপার্জনের জন্য জীবজন্তু এমনকি মাছের ডিমও পাচার করছেন চোরাকারবারিরা। তবে বহু ক্ষেত্রেই সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর তৎপরতায় তাদের প্রচেষ্টা ভেস্তে যাচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে চড়া দামে বিক্রি করা হয় এইসব জীবজন্তু এবং মাছের ডিম বলে জানা গিয়েছে।
সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর আধিকারিকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সীমান্ত সুরক্ষায় কোনরকম খামতি রাখছেন না তারা। আর তার যেড়েই চোরাকারবারীদের বাড়ন্ত অনেকটাই রোখা সম্ভব হচ্ছে। আগামী দিনে সীমান্ত সুরক্ষায় আরও বাড়তি নজরদারি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।
রুদ্র নারায়ণ রায়