ব্যাঙ্গালোর থেকে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসে সকালে ট্রেনে চেপে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। এরপর সন্ধ্যাবেলায় ওড়িশার বালাসোরে ট্রেন ঢুকতেই সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তার ট্রেন। তিনি ছিলেন দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া যশবন্তপুরের ট্রেনের কামড়ায়। ঘটনার মুহূর্তের কথা বলতে গিয়ে এখনও চোখে মুখে স্পষ্ট হয়ে উঠছে আতঙ্কের ছাপ।পরিতোষ বাবু জানান, স্বাভাবিক ছন্দে ট্রেন চলতে থাকলেও, হঠাৎই তিনি একটি বিকট আওয়াজ শুনতে পান। তারপরই, রেল লাইনে থাকা পাথর ছিটকে আসতে থাকে কামরার ভেতর। এরপরে তিনি বুঝতে পারেন ট্রেনটি কোনও দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এর মধ্যেই রেল লাইনের ছিটকে পড়েন।
advertisement
আরও পড়ুন-ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড! ভাঙল একাধিক গাছ ও মাটির বাড়ি, বিরাট ক্ষয়ক্ষতিতে আতঙ্ক এলাকায়
আরও পড়ুন- ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর ছিলেন নিখোঁজ, কীভাবে ফিরলেন বাড়িতে, জানলে চমকে যাবেন
তারপরই আর কিছু মনে নেই তার। জ্ঞান ফিরতেই দেখেন দু-একজন যাত্রী তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। চারিদিক অন্ধকারে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলেন না পরিতোষ বাবু। সেখান থেকেই উদ্ধার করে প্রথমে তাকে গাড়ি করে খড়গপুর স্টেশন পর্যন্ত নিয়ে আসা হয়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা হলে, মাথায় আঘাত নিয়েই ট্রেনে করে সাঁতরাগাছি স্টেশনে আসেন। তারপর চিকিৎসার জন্য তাকে বারাসাত জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলেও, মানসিকভাবে এখনও বিধ্বস্ত দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এই ট্রেন যাত্রী। সুস্থ শরীরে ঘরের লোক ফিরে এসেছে বাড়িতে, তাতেই যেন স্বস্তি গোটা পরিবারে।
Rudra Narayan Roy