উত্তর ২৪ পরগনার ছয়ঘড়িয়ার বাসিন্দা বছর পঁয়ষট্টির সমীর রায়। দোলের দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তারপর থেকেই আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে পেট্রাপোল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। বুধবার সকালে ইছামতি নদীতে বৃদ্ধ সমীর রায়ের দেহ ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। অনুমান, মঙ্গলবার রাতের দিকে বৃদ্ধ সমীর রায় হয়ত ইছামতিতে স্নান করতে নেমেছিলেন। আর তখনই কোনোভাবে তিনি নদীর জলে পড়ে ভেসে যান।
advertisement
সকালে হাটখোলা এলাকায় ইছামতি নদীর পাড়ে একটি ভ্যানের উপরে জামাকাপড় দেখে এলাকার বাসিন্দাদের সন্দেহ হয়। তাঁরা বনগাঁ থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি শুরু করে। তখনই স্নানের ঘাটের পাশে পড়ে থাকা ঠাকুরের পরিত্যক্ত কাঠামোর মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ওই বৃদ্ধের দেহ।
মৃত সমীর রায়ের ছেলে সুজিত রায় বলেন, গতকাল থেকে বাবা নিখোঁজ ছিল। আজ ইছামতি নদী থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছ। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল তা এখনও বুঝে উঠতে পারছি না। পুলিশ ওই বৃদ্ধের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত সমীর রায় নিজেই নদীতে পড়ে গিয়েছিলেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা আছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
রুদ্রনারায়ণ রায়