যেন সাক্ষাৎ ইতিহাস! ৩০০ বছরের পুরনো হিঙ্গলগঞ্জের জানা জমিদার বাড়ি, নদীপথ বাণিজ্যের যুগের এক জীবন্ত দলিল

Last Updated:
Jana Zamindar Bari Hingalganj: মাহমুদপুরে কালিন্দি ও গৌড়েশ্বর নদীর তীরে দাঁড়িয়ে জানা জমিদার বাড়ি আজও ইতিহাসের সাক্ষী। ধান-বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও জমিদারি ঐতিহ্যে ভরপুর এই প্রাসাদ এখনো মনে করিয়ে দেয় বাংলার গৌরবময় অতীত।
1/6
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের মাহমুদপুরে দাঁড়িয়ে আছে জানা জমিদার বাড়ি — ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে। কালিন্দি ও গৌড়েশ্বর নদীর তীরে অবস্থিত এই প্রাসাদ একসময় ছিল কৃষি ও পণ্যবাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। এখান থেকেই নদী ও স্থলপথে পণ্য পৌঁছাত কলকাতার চেতলার বৃহৎ ধানের মিলে, যেখানে ধান থেকে চাল তৈরি হয়ে যেত রফতানির জন্য প্রস্তুত।
উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের মাহমুদপুরে দাঁড়িয়ে আছে জানা জমিদার বাড়ি — ইতিহাসের নীরব সাক্ষী হয়ে। কালিন্দি ও গৌড়েশ্বর নদীর তীরে অবস্থিত এই প্রাসাদ একসময় ছিল কৃষি ও পণ্যবাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু। এখান থেকেই নদী ও স্থলপথে পণ্য পৌঁছাত কলকাতার চেতলার বৃহৎ ধানের মিলে, যেখানে ধান থেকে চাল তৈরি হয়ে যেত রফতানির জন্য প্রস্তুত।
advertisement
2/6
তখনকার দিনে নদীপথই ছিল জীবনের প্রবাহ। জানা জমিদারির অধীনে ধান চাষ, সংগ্রহ ও পরিবহণের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছিল। নৌকায় বোঝাই ধান ভেসে যেত চেতলা পর্যন্ত। সেখান থেকে তৈরি চাল রওনা দিত দেশ-বিদেশের বাজারে। এই বাণিজ্যের মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভিত, যা স্থানীয় মানুষের জীবিকা ও সমাজজীবনকে প্রভাবিত করেছিল গভীরভাবে।
তখনকার দিনে নদীপথই ছিল জীবনের প্রবাহ। জানা জমিদারির অধীনে ধান চাষ, সংগ্রহ ও পরিবহণের বিশাল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছিল। নৌকায় বোঝাই ধান ভেসে যেত চেতলা পর্যন্ত। সেখান থেকে তৈরি চাল রওনা দিত দেশ-বিদেশের বাজারে। এই বাণিজ্যের মধ্য দিয়েই গড়ে ওঠে অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভিত, যা স্থানীয় মানুষের জীবিকা ও সমাজজীবনকে প্রভাবিত করেছিল গভীরভাবে।
advertisement
3/6
জানা জমিদার বাড়ি শুধু রাজকীয় প্রাসাদ নয়, এটি ছিল স্থানীয় সংস্কৃতি ও সামাজিক জীবনের কেন্দ্র। কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী— সকলের সঙ্গেই ছিল এই প্রাসাদের সরাসরি সম্পর্ক। ধান মাপা, শুকানো, পরিবহণ— সবকিছুই হত জমিদারির তত্ত্বাবধানে। অর্থনীতি যেমন চলত এই বাড়িকে ঘিরে, তেমনি চলত উৎসব-অনুষ্ঠানের ধারাও।
জানা জমিদার বাড়ি শুধু রাজকীয় প্রাসাদ নয়, এটি ছিল স্থানীয় সংস্কৃতি ও সামাজিক জীবনের কেন্দ্র। কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী— সকলের সঙ্গেই ছিল এই প্রাসাদের সরাসরি সম্পর্ক। ধান মাপা, শুকানো, পরিবহণ— সবকিছুই হত জমিদারির তত্ত্বাবধানে। অর্থনীতি যেমন চলত এই বাড়িকে ঘিরে, তেমনি চলত উৎসব-অনুষ্ঠানের ধারাও।
advertisement
4/6
ইতিহাস বলছে, এই জমিদারির পত্তন করেন নন্দলাল জানা। বারো ভুঁইয়ার যুগ এবং রাজা মানসিংহের শাসনকালেই এর সূচনা হয়। প্রায় তিনশো বছর ধরে জানা পরিবারের রাজত্ব বিস্তৃত ছিল গোটা হিঙ্গলগঞ্জ ও সংলগ্ন অঞ্চলে। ব্রিটিশ শাসনকালে জমিদারি ব্যবস্থার অবসান হলেও, তাদের ঐতিহ্য ও প্রভাব আজও মানুষের স্মৃতিতে অমলিন।
ইতিহাস বলছে, এই জমিদারির পত্তন করেন নন্দলাল জানা। বারো ভুঁইয়ার যুগ এবং রাজা মানসিংহের শাসনকালেই এর সূচনা হয়। প্রায় তিনশো বছর ধরে জানা পরিবারের রাজত্ব বিস্তৃত ছিল গোটা হিঙ্গলগঞ্জ ও সংলগ্ন অঞ্চলে। ব্রিটিশ শাসনকালে জমিদারি ব্যবস্থার অবসান হলেও, তাদের ঐতিহ্য ও প্রভাব আজও মানুষের স্মৃতিতে অমলিন।
advertisement
5/6
সময় বদলেছে, কিন্তু জানা বাড়ির বিভিন্ন পুজোর প্রথা আজও আগের মতোই চলে আসছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই উৎসবে যোগ দিতে। পূজোর সময় যেন পুরনো দিনের সেই প্রাণ ফিরে পায় প্রাসাদটি— আলোর ঝলকানিতে, মন্ত্রোচ্চারণে, ও মানুষের ভিড়ে জমে ওঠে চেনা ঐতিহ্যের আবহ।
সময় বদলেছে, কিন্তু জানা বাড়ির বিভিন্ন পুজোর প্রথা আজও আগের মতোই চলে আসছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই উৎসবে যোগ দিতে। পূজোর সময় যেন পুরনো দিনের সেই প্রাণ ফিরে পায় প্রাসাদটি— আলোর ঝলকানিতে, মন্ত্রোচ্চারণে, ও মানুষের ভিড়ে জমে ওঠে চেনা ঐতিহ্যের আবহ।
advertisement
6/6
বর্তমানে প্রাসাদের বড় অংশ ভগ্নপ্রায়। জানা পরিবারের কিছু বংশধর এখনও মাহমুদপুরে থাকেন, বাকিরা কলকাতায়। তবু সবার হৃদয়ে বেঁচে আছে এই বাড়ির গৌরবময় ইতিহাস। স্থানীয়দের দাবি, এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে সংরক্ষণ করে যদি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে পুনরুজ্জীবিত হবে এলাকার ঐতিহ্য ও অর্থনীতি
বর্তমানে প্রাসাদের বড় অংশ ভগ্নপ্রায়। জানা পরিবারের কিছু বংশধর এখনও মাহমুদপুরে থাকেন, বাকিরা কলকাতায়। তবু সবার হৃদয়ে বেঁচে আছে এই বাড়ির গৌরবময় ইতিহাস। স্থানীয়দের দাবি, এই ঐতিহাসিক স্থাপনাকে সংরক্ষণ করে যদি পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যায়, তাহলে পুনরুজ্জীবিত হবে এলাকার ঐতিহ্য ও অর্থনীতি
advertisement
advertisement
advertisement