ভৈমি একাদশীর উপলক্ষে পুজোকে ঘিরে বহু দর্শনার্থীদের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। সোনাই নদীকেই পুজোর স্থান হিসেবে বেছে নেয়। এই সোনাই নদীর দুপাড়েই দুই বাংলার মানুষের ঢল নামে। বিএসএফ কড়া নজরদারিতে সেখানেই ধুপ ধুনো ফল মিষ্টি দিয়ে নদীতে পুজো দিয়ে চলে যায় আর যা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।
আরও পড়ুন : আকৃতিতে এবড়োখেবড়ো, নিজেই নিজের জন্য রুটি বানিয়ে খেলেন মার্কিন ধনকুবের বিল গেটস
advertisement
মন্দির কমিটির উদ্যোক্তারা জানায়, " স্বাধীনতার পূর্বে দুই বাংলার মানুষ দক্ষিণ তারালী এই মন্দিরে এসে তাদের একদিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেন, অন্যদিকে একসঙ্গে বসে পুজো অর্চনা খাওয়া-দাওয়া করতেন। দক্ষিণ তারালী রামসীতা মন্দির হয়ে উঠত দুই বাংলার মিলনক্ষেত্র। সীমান্তের বেড়াজালে সেটা আর হয় না।"
আরও পড়ুন : পোষ্য সারমেয়র মৃত্যুশোকে যুবক খুলেছেন পশু-হাসপাতাল, বিনামূল্যে সেবা করা হয় গৃহহীন অনাথ পশুদের
সোনাই নদীর এই মিলনক্ষেত্রে দুই বাংলার আত্মীয়-স্বজনদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দূর থেকে কথা বলার জন্য প্রতীক্ষার অবসান ঘটায় এই দিনটি। সোনাই নদীতে প্রার্থনা পুজোর মধ্য দিয়ে দুই বাংলার মানুষের শান্তি কামনায়। সোনাই নদীর দুই পাড়ে একত্রিত হয় বহু ভক্ত, সেটা উপভোগ করে। প্রায় ১০০ বছর ধরে এই পরম্পরা বজায় করে চলেছেন দক্ষিণ তারালীর রাম সীতা মন্দিরের উদ্যোক্তারা।