আরও পড়ুন: পূর্ব রেলের নতুন জিএম-র ভাবাদিঘি সফর, দাবিতে অনড় স্থানীয়রা
বসিরহাটের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের টাকি রোডের পাশে এই শতাব্দী প্রাচীন পুকুরটি অবস্থিত। বালি ফেলে সেটি ভরাটের কাজ চলছিল। বিষয়টি জানাজানি হতেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর তার পরই নড়েচড়ে বসে বসিরহাট জেলা প্রশাসন। বসিরহাটের দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় ও বসিহাটের পুরপ্রধান অদিতি মিত্র সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জানা যায় বহু বছরের পুরনো এই পুকুরের মালিকানা জনৈক তপন দেবনাথের। সম্প্রতি তিনি জমির চরিত্র বদল করে সেটাকে পুকুর থেকে বাস্তুতে রূপান্তরিত করেছেন। এরপর এই পুকুরের ৫ কাঠা জমি ৮৬ লক্ষ টাকা দিয়ে বিক্রি করে দেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, কাগজে এটা বাস্তু রয়েছে, আপনারা আইন কানুন বোঝন না।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে খবর, পুকুরের জমির চরিত্রের রেকর্ড বদল স্থানীয় প্রোমোটার চক্রের সাহায্যেই হয়েছে। গোটা বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষব্ধ হন বসিরহাটের পুরপ্রধান অদিতি মিত্র। তিনি গোটা বিষয়টি উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরৎকুমার দ্বিবেদি, বসিরহাটের মহকুমাশাসক মৌসম মুখার্জি, বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার জবি থমাসকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। পাশাপাশি পুরপ্রধানের নির্দেশে বসিরহাট পুরসভা ১৫ দিনের মধ্য পুকুর ভরাট বন্ধের নোটিশ জারি করেছে। পাশাপাশি পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মালিকপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আইন মেনে প্রশাসনের সাহায্যে পুকুরের বালি-মাটি খুঁড়ে তা আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে বসিরহাট দক্ষিণের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দোপাধ্যায় বলেন, আমরা প্রশাসনের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এই অবৈধ পুকুর ভরাট বন্ধ করব। তাঁর অভিযোগের আঙুল বিরোধীদের দিকে। জানান বিরোধীরাই চক্রান্ত করে এই শতাব্দী প্রাচীন পুকুর ভরাট করছিল।
জুলফিকার মোল্লা