চুরি করা সোনার গয়না উপহার হিসাবে দিতেন পরিচিত মহিলাদের। আর সেই সোনাই হাত ঘুরে চলে যেত সীমান্ত শহর বসিরহাটে। এভাবে চলত সোনা গলিয়ে বিক্রি। এমনই এক হাই-প্রোফাইল চোরকে এবার ধরল বারাসাত জেলা পুলিশ। কালীপুজোয় বারাসাতের প্রশাসনিক ব্যস্ততাকে কাজে লাগিয়ে চুরি করতে গিয়েই ধরা পরল পুলিশের হাতে। ইতিমধ্যেই তাকে জেরা করে আরও এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চুঁচুড়া ও বসিরহাট থেকে গ্রেফতার ২ অভিযুক্ত।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, এমনই বিলাসবহুল জীবনের নেশায় একের পর এক চুরির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিল সুব্রত চক্রবর্তী নামে ওই হাই-প্রোফাইল চোর। তার হাত ধরেই উঠে এসেছে এক চক্রের কর্মকাণ্ড। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, বারাসাত জেলা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে সেই সুব্রত। জানা গিয়েছে, কালীপুজোর সময় প্রশাসনিক ব্যস্ততাকে কাজে লাগিয়ে গত ২২ অক্টোবর বারাসাতের বনমালিপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ সোনার গয়না ও নগদ অর্থ চুরি করেছিল সুব্রত। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে বারাসাত থানার পুলিশ।
চুঁচুড়া থেকে সুব্রতকে গ্রেফতার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে তার কাছ থেকে কিছু উদ্ধার সম্ভব করা হয়নি। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু হয়। তাতেই বেরিয়ে আসে বসিরহাটের এক ফিনান্স সংস্থার ম্যানেজার রাজু মজুমদারের নাম। রাজুর কাছ থেকেই উদ্ধার হয় খোয়া যাওয়া সোনার গয়না।
এদিন বারাসাত জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, সুব্রত চক্রবর্তী বসিরহাটের বাসিন্দা। প্রশাসনিক ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে বারাসাতে ওঁ এভাবেই নানা এলাকায় রেইকি করে হোটেলে থেকে পরিকল্পনা অনুযায়ী চুরির কাজ করত। তার বিলাসবহুল জীবনের জন্যই চুরি ছিল একমাত্র ভরসা। এর আগেও এনডিপিএস-সহ একাধিক অপরাধমূলক মামলায় তার নাম ছিল বলে জানা গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় সুব্রত ও রাজু স্বীকার করেছে, চুরি করা সোনা বসিরহাটের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করা হত। সেই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৩০ গ্রাম সোনাও উদ্ধার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত তার খোঁজে তদন্ত চলছে।






