স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আশপাশের গ্রামের প্রায় কুড়ি হাজার পরিবার এই শ্মশানের উপরই নির্ভরশীল। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বহু দাহকার্য হয়েছে এই শ্মশানে। এই শ্মশানে নেই কোনো স্থায়ী ডোম।
আরও পড়ুন- প্রায় দেড় মাস বন্ধ থাকবে 'এই' গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, কেন জানুন..
তবে কীভাবে দেহ পোড়ানো হয়? উত্তরে জানা গিয়েছে, স্বেচ্ছায় বিনা পারিশ্রমিকে স্থানীয় যুবকদের উদ্যোগেই একপ্রকার চলছে শ্মশানে মৃতদেহ পোড়ানোর কাজ। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অভিযোগ, দাবি, আর্তি, আবেদনের তালিকাটা দীর্ঘ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অনেক ক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। নানা বাহানায় বিষয়টি উপেক্ষিত থেকেছে বহু বছর।
advertisement
আরও পড়ুন- পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র সংখ্যা মাত্র ৫০! এ এক আজব স্কুল!
দীর্ঘ বছর ধরে চলে আসা এই শ্মশানের হাল ফেরাতে উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে কাজের বরাত দেওয়া হলেও, তা লাল ফিতের ফাঁসে আটকে রয়েছে বলেই দাবি স্থানীয়দের। হাল ফিরুক শ্মশানের চাইছেন বিস্তীর্ণ এলাকার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় পঞ্চায়েত, বিধায়ক সহ নানা প্রশাসনিক দফতরে দফতরে, শ্মশানের পরিকাঠামো ভাল করতে আবেদন জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রশাসনের নজর ঘোরাতে একটি ভিডিও নাকি ভাইরাল করা হয়েছিল বলে দাবি করলেন স্থানীয় বাসিন্দা। তবুও কোনোভাবেই ফেরেনি শ্মশানের পরিকাঠামো।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ একপ্রকার মেনে নিয়েছেন পঞ্চায়েত উপ প্রধান। এই শ্মশানের পরিকাঠামো গড়ে তুলতে প্রাথমিক উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
Rudra Narayan Roy