উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা হতে জানা যায় অস্মি চৌধুরী ৫০০ মধ্যে পেয়েছে ৪৮৯ নম্বর। অঙ্ক ও কেমিস্ট্রিতে ১০০। বিজ্ঞান বিভাগের অন্যান্য বিষয়গুলোতে নব্বইয়ের ঘরে নম্বর রয়েছে এই মেধাবী ছাত্রীর। কীভাবে চলত পড়াশোনা? উত্তরে অস্মি জানিয়েছে, দিনের বেশিরভাগ সময়ে সে পড়াশোনা করত। গল্পের বই পড়তে ভালবাসলেও বিগত দুবছর তেমন ভাবে পড়া হয়নি গল্পের বই। টিভি দেখা থেকেও দূরে ছিল সে। সাফল্যকে ছুঁয়ে দেখতে অস্মি বাইরে টিউশন পড়তে যাওয়া ছাড়া প্রায় সবসময়ই পড়াশোনার মধ্যে ডুবে থাকতো। এই সাফল্যের পেছনে অস্মি তার পরিবার তো বটেই পাশাপাশি তার স্কুলের শিক্ষিকা ও গৃহ শিক্ষকদের অবদানের কথা জানাতে ভোলেননি।
advertisement
আরও পড়ুন: বিকল্প জীবিকা, নৌকাসাঁকোয় পারাপার করিয়ে চলছে সংসার, কত আয় হয় মাসে?
অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার হরিপুর এলাকার বাসিন্দা অস্মি চৌধুরি। এলাকায় মেধাবী ছাত্রী হিসাবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে তাঁর। মাধ্যমিকে ষষ্ঠ স্থান অধিকার করার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে পরিবার। আশা ছিলই উচ্চ মাধ্যমিকে মেধাতালিকায় থাকবে তার নাম। মিলেছে কাঙ্খিত সাফল্য। উচ্চমাধ্যমিকে ৪৮৯ নম্বর পেয়ে দশম স্থান অধিকার করার পর অস্মির ইচ্ছে ডাক্তারি পড়ার। মেডিক্যালে সুযোগ পাওয়ার লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। মেয়ে স্বপ্ন পূরণ করতেই আবেগে ভাসছেন এই মেধাবী ছাত্রীর বাবা অমিতাভ চৌধুরী। নাতনির এই কৃতিত্ব শেষ বয়সের প্রাপ্তি বলে মনে করছেন অষ্মির দাদু ৮৬ বছরের প্রেমতোষ হালদার।
রুদ্র নারায়ন রায়