আরও পড়ুন: IPL-র মরশুমে SCL-এ মজেছে শিলিগুড়ি
১৯৫৬ সালে হিঙ্গলগঞ্জের সমাজসেবী তথা শিক্ষক নিত্যানন্দ সেনগুপ্ত নিজের জমানো টাকা দিয়ে বসিরহাট পুরসভার মাটিনবার্ন রোড সংলগ্ন গণপতিপুরে সাড়ে চার কাটা জমি কেনেন। শিক্ষার প্রসারের জন্য তিনি সুন্দরবনের পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক ছেলেদের জন্য ওই জমিতে ছাত্রাবাস তৈরি করেন।
advertisement
নিত্যানন্দ সেনগুপ্ত সেখানে প্রথমে আটচালা ঘর তৈরি করেছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে টালির চাল ও ইটের গাঁথনির ব্যবস্থা করেন। পাঁচ জন ছাত্র নিয়ে এই ছাত্রাবাসের পথচলা শুরু হয়। ধীরে ধীরে ছাত্রের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। কিছুদিনের মধ্যেই নিত্যানন্দবাবু এখানে ১৫ জন ছাত্রের থাকার বন্দোবস্ত করেন। সেই সঙ্গে তাদের পড়াশোনা, খাওয়া দাওয়ার খরচও তিনিই বহন করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। তবে এখানে থাকার জন্য ছাত্ররা প্রতিমাসে ৫০ টাকা দিত। তবে যাদের আর্থিক অবস্থা ভাল ছিল না সেই সকল ছাত্রের কাছ থেকে কোনও টাকা নিতেন না নিত্যানন্দ সেনগুপ্ত। কালের নিয়মে এই ছাত্রাবাসটি জরাজীর্ণ হয়ে ভগ্নপ্রায় দশায় গিয়ে হাজির হয়। এর পুরনো হাল ফিরিয়ে দিতে ইতিমধ্যে একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। সেখানে এই ছাত্রাবাসে থেকে কেরিয়ার গড়ে তোলা প্রাক্তন কৃতী ছাত্ররা আছেন। এমন ১৫ জন প্রাক্তন ছাত্রের আর্থিক অনুদানে প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা উঠেছে। তা দিয়ে এই ছাত্রাবাসের সংস্কার হবে। পাশাপাশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বসিরহাট পুরসভাও। তাদের উদ্যোগে এই ছাত্রাবাসে তিন তলা পাকা দালান তৈরি হবে। পাশাপাশি একটি অডিটোরিয়াম ও লাইব্রেরিও গড়ে তোলা হবে।
জুলফিকার মোল্লা