তবে এই ঘটনায় এক অমানবিক ছবিও উঠে এসেছে। দুর্ঘটনার পরই টোটো চালক না থেমে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান। এদিকে সংঘাহীন ওই মহিলাকে স্থানীয়রা কেউ চিনতে পারেননি। পাশেই একটি চা দোকানে বসেছিলেন স্থানীয় যুবক বাপ্পা বিশ্বাস। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওই আহত মহিলাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা। কিন্তু ওই মহিলার কাছে এমন কোনও কাগজপত্র বা নথি ছিল না যা থেকে বোঝা যায় তিনি কে বা বাড়ি কোথায়।
advertisement
আরও পড়ুন: ঝড়বৃষ্টির সময় সিসি ক্যামেরা বুথে বুথে কাজ করবে? চিন্তায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন
তবে এখানেই দমে না গিয়ে ওই মহিলার পরিবারের খোঁজ পাওয়ার জন্য বিকল্প উপায় বের করেন স্থানীয়রা। তাঁরা আহত অবস্থায় ওই মহিলার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। তাতে দ্রুত কাজ হয়। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই ওই পোস্টটি নজরে পড়ে মহিলার পরিচিতদের। এরপরই তাঁর পরিবারের সদস্যরা শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এসে হাজির হন। আরও ভালোভাবে চিকিৎসার জন্য তাঁরা ওই মহিলাকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে শেষ খবর অনুযায়ী তখনও ওই মহিলার জ্ঞান ফেরেনি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকবার তাঁর রক্তবমি হয়। তবে চিকিৎসকরা সুস্থ করে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, আহত মহিলার নাম রাধারানি বিশ্বাস। বয়স ৫৫ বছর। স্বামী আনন্দ বিশ্বাস। বাড়ি শান্তিপুরেরই বেলঘড়িয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েতের গবার চর এলাকায় বাড়ি। তিনি পরিচারিকার কাজ করেন। বুধবার সকালে রামনগর মাঠ এলাকার একটি বাড়িতে নিজের বেতনের টাকা আনতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণেই ওই আহত মহিলার পরিবার এতো দ্রুত তাঁকে খুঁজে পেল।
মৈনাক দেবনাথ