জানা যায় ওই টোটোর মধ্যে ছিল নয়জন পড়ুয়া। টোটো টি ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। টোটোর মধ্যে থাকা নয় জন শিশুই কমবেশি জখম হয়। তড়িঘড়ি তাদেরকে নিয়ে আসা হয় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকের তৎপরতায় ছয় জন পড়ুয়াকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়, এবং বাকি তিনজনের হাতে গুরুতর আঘাত লাগার ফলে তারা ভর্তি থাকে হাসপাতালে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মৃতের পরিজনের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস সাংসদের
ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ববিতা খাতুন জানায়, "টোটো চালকটি ভাড়া কম নেওয়ার কারণে বেশিরভাগ পড়ুয়ারাই তার টোটোতে করে স্কুলে যায়। এদিন জাতীয় সড়কে উঠার সময় হঠাৎই টোটোটি উল্টে যায়।" যদিও এই দুর্ঘটনার পেছনে টোটো চালকের কোনও দোষ নেই বলেই দাবি করেন পড়ুয়া এবং তার অভিভাবকেরা। পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা জানাচ্ছেন বেসরকারি বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়াতের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ব্যবস্থা করা হয় গাড়ির।
আরও পড়ুনঃ কৃষ্ণনগর এমপি কাপে শাড়ি পরে ফুটবলে কিক মহুয়া মৈত্রের
বেসরকারি স্কুলের মত সরকারি স্কুলগুলিতেও যদি যাতায়াতের জন্য স্কুলের পক্ষ থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করা হতো তাহলে এমন দুর্ঘটনা হয়তো ঘটতো না। অভিভাবকদের দাবি ভবিষ্যতে বড় দুর্ঘটনা এড়াতে অবিলম্বে সরকারি স্কুলগুলিতেও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করা হোক।
Mainak Debnath