সেই বাড়িরই সন্তান ছিলেন পণ্ডিত লক্ষ্মীকান্ত মৈত্র। তাঁর সন্তান ড. সুব্রত মৈত্র। এরকমই একাধিক ব্যক্তিত্ব যে বাড়িতে, সে বাড়ির পুজো যে অন্যরকম হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। শুধু দেশে নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থাকা আত্মীয়স্বজন শুধুমাত্র মাটির টানে দুর্গাপুজোতে আসেন এ বাড়িতে।
১২৮ বছরের এই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন স্বর্গীয় রজনীকান্ত মৈত্র। সমগ্র বাড়িটি ঠাকুর দালানের স্মৃতি। এই বনেদি বাড়ির পুজোর প্রথম বোধন ১২৮ বছর ধরে একই বেল গাছের তলায় পালন করা হচ্ছে। ওই বেল গাছটির বয়স আনুমানিক প্রায় ১৩০ বছর। বেল গাছের চারার ওপর পারিবারিক মন্দির নিয়ে এর মধ্যেই পুজোর বীজ বপন করেছিলেন বলে এই বনেদি বাড়ির সদস্যরা মনে করেন।
advertisement
বনেদি বাড়ির দুর্গা মহিষাসুরমর্দিনী। এবং লক্ষ্মী ও সরস্বতী বাহন বিহীন। এবং এই বনেদি বাড়ির পুজো করা হয় তাঁদের নির্দিষ্ট পুঁথি থেকে। ব্রাহ্মণ নির্দিষ্ট পুঁথি অনুযায়ী পুজোর রীতিনীতি সম্পন্ন করেন। এই বনেদি বাড়ির সদস্যরা দেবীর আগমনকে নিজেদের বাড়ির মেয়ের মতো মনে করেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চমীতে ঢাক বাজিয়ে ঠাকুর আনলেন ঘরে, উৎসব শুরু মিমির আবাসনে, সঙ্গে নয়া সুখবর দিলেন নায়িকা
তাঁরা জানান, রাস থেকে দুর্গা পুজোতে তাঁদের সমস্ত বাড়ির অধিকাংশ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। প্রতিবছর দেশ ও বিদেশ থেকে সদস্যরা প্রতিবছর বাড়ির পুজোর জন্য ফিরে আসেন । পুজোর বিশেষ নিয়ম বলতে ঘরের মেয়ে উমাকে পান্তা ভাত খাইয়ে তবেই বিসর্জনের পথে রওনা দেওয়া হয়।
Mainak Debnath