জানা যায়, এরপর সেই রাতে মা দুর্গা জগদ্ধাত্রী রূপে পরবর্তী শুক্লা নবমী তিথিতে দুর্গারূপী জগদ্ধাত্রী মাতা পূজা করার স্বপ্ন দেশ দেন। এরপরই মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র জগদ্ধাত্রী পূজার সূচনা করেন কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে। তৎকালীন সময় থেকে আজও পর্যন্ত প্রতিবছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে রাজবাড়ীতে পালিত হয়ে আসছে মা জগদ্ধাত্রীর আরাধনা।
আরও পড়ুন - ক্যাচ ফেলতে যে ফিল্ডারকে অশ্রাব্য গালি! সেই তুলে নিল রোহিতকে
advertisement
ধর্মীয় রীতিনীতিকে মান্যতা দিয়ে প্রতি বছর এই পূজার আয়োজন করে থাকেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। সেইমত এই বছরেও একই ভাবে কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির মন্দির প্রাঙ্গণে মহাসমারোহে পূজিত হচ্ছেন মা জগদ্ধাত্রী। পূজা উপলক্ষে বহু দর্শনার্থী ভিড় জমাচ্ছেন রাজবাড়ী প্রাঙ্গনে।
আরও পড়ুন - Weather Update: বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি সাইক্লোন! রইল আজকের টাটকা ওয়েদার আপডেট
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর সেরা আকর্ষণ বুড়িমা। এখানকার পুজো নিয়ে রাজা কৃষ্ণচ্ন্দ্র আলাদা করে স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন এ রকম গল্প কোথাও নেই। তবে রাজা নিজের বাড়ির পুজোকে অন্যদের মধ্যে ছড়াতে উৎসাহী প্রজাদের অনুদান দিতেন। এ পুজোর নাম ছড়িয়েছে গোটা দেশে, এমনকি বিদেশের বাঙালি ভক্তদের মধ্যেও। বর্তমানে সাধারণ মানুষের অনুদানের আর্থিক সাহায্যেই বুড়িমা পুজো সম্পন্ন হয়। জগদ্ধাত্রী পুজোর আগের দিন থেকে অসংখ্য ভক্ত দেশ তথা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কৃষ্ণনগরে চলে আসেন বুড়িমা দর্শনে।
Mainak Debnath