পুলিশ সূত্রে জানা যায় ওই নাবালিকার বাড়ি কালীগঞ্জ থানার অন্তর্গত বাথনাগাছি এলাকায়। বাবা পেশায় ভ্যান চালক। এক আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে করে রওনা দেয় বলে ওই নাবালিকার দাবি। এরপর নদিয়া জেলা চাইল্ড লাইনের আধিকারিকরা এসে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হোমে নিয়ে যায়। এর পাশাপাশি নাবালিকার সঠিক পরিচয় জেনে তার অভিভাবকদের খোঁজের তদন্ত শুরু করেছে রানাঘাট জিআরপি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শান্তিনিকেতনের আমেজ এবার পাওয়া যাবে রানাঘাটে
প্রসঙ্গত এর আগেও একাধিক নাবালক এবং নাবালিকা উদ্ধার করা হয়েছে জেলার বিভিন্ন রেলস্টেশন থেকে। রেলের জিআরপির তৎপরতায় বেশিরভাগ সময়ই সেই নাবালক নাবালিকাকে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে তাদের বাবা মায়েদের কাছে। এর কারণ যাচাই করতে গেলে শিশু মনোবিদেরা জানান বেশিরভাগ সময় শিশুরা বাবা-মার অবহেলায় অথবা পারিবারিক কোনও অশান্তির জেরেই বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করে। বাবা-মায়ের উচিত তাদের সন্তানদের প্রতি আরও বেশি করে যত্নশীল হওয়া। এবং তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।
আরও পড়ুনঃ চলছে দুর্যোগ, লাখ লাখ টাকার বাজেটের প্যান্ডেল অনিশ্চয়তার মুখে
উল্লেখ্য জেলায় নাবালিকা হারানোর একাধিক খবর ইতিমধ্যে শিরোনামে উঠে এসেছে। বিশেষ করে ট্রেনে কিংবা স্টেশনে প্রায়শই নাবালিকা উদ্ধার হওয়ার ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়। ঝড় বৃষ্টি, দিন রাত উপেক্ষা করে চাইল্ড লাইনের আধিকারিকেরা পৌঁছে যায় ওই নাবালিকাকে হোমে নিয়ে যাওয়ার এবং তার পরিচয় পত্র জেনে সঠিক ঠিকানায় তার অভিভাবকের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থাও করেন তারা। আজও আনুমানিক রাত দুটোর সময় রানাঘাট জিআরপির কাছ থেকে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হোমে নিয়ে যায় নদিয়া জেলার চাইল্ড লাইন আধিকারিকেরা।
Mainak Debnath