চিকিৎসা বিজ্ঞানে একই প্রসূতি মায়ের ২বার সিজারিয়ান ডেলিভারি স্বাভাবিক বিষয় হলেও ৩বার কখনই নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে একবার সিজার হলে, পরবর্তীতে সিজারে ডেলিভারি প্রাণঘাতী হতে পারে। প্রথম বাচ্চা সিজারে ডেলিভারি হওয়ার পর, পরেরটার নরমাল ডেলিভারি হলে তাতে মৃত্যর আশঙ্কা কমে।
আরও পড়ুন: বিশাল আকারের এ কী উঠে এল জালে! দিঘা জুড়ে তোলপাড়, তুলকালাম কাণ্ড সৈকত শহরে
advertisement
তাই চিকিৎসকেরা ২ বারের বেশি সিজার নিরুৎসাহিত করেন। তবে সর্বোচ্চ ৩বার, এর বেশি কোনওভাবেই নিরাপদ নয়। তিনবার সিজারের পর চতুর্থবার গর্ভধারণে বেশকিছু জটিলতা দেয়। এমনকী গর্ভবতী মায়ের মৃত্যুও হতে পারে।
তবে নদিয়ার পলাশি পাড়ার বাসিন্দা জয়দেব দাস তার সন্তান-সম্ভবা স্ত্রী অসীমা দাস কে নিয়ে ডক্টর পবিত্র ব্যাপারি কে দেখান আজ থেকে ছমাস আগে। তখনই ডাক্তারবাবু জানতে পারেন ইতিমধ্যেই তার তিনবার সিজার হয়েছে, এবং সেই সুবাদে তার দশ বছরের এবং ছয় বছরের দুটি কন্যাও রয়েছে। তৃতীয়বার একটি সন্তান মারা যায়।
অবশেষে হয়তো পুত্র সন্তানের আশায় চতুর্থবার গর্ভধারণ করেন ওই দম্পতি। বিষয়টি বেশ জটিল জেনেও, যেহেতু ছয় মাস পার হয়ে গিয়েছে, তাই ডক্টর ব্যাপারি চিকিৎসা শুরু করেন। অত্যন্ত অভাবি পরিবার হওয়ার কারণে তিনি শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে বিনামূল্যে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন: মুখে তুলি ধরে মাদার টেরিজার ছবি এঁকে বাজিমাত পাথরপ্রতিমার যুবকের, নাম রেকর্ড বইয়ে
চতুর্থবারের সফল অস্ত্রপ্রচারের ফলে জন্ম নেয় একটি পুত্র সন্তান। নবজাতকের ওজন এবং শারীরিক পরিস্থিতি সুস্থ রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ডাক্তারবাবু এবং সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই সফলতা সম্ভব হয়েছে বলে জানান ডক্টর ব্যাপারি। সর্বোপরি সুপারেন্টেন্ড ডক্টর তারক বর্মণের অনুমতির ফলেই এই দুঃসাধ্য সাধন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মৈনাক দেবনাথ