এরপর ১৮৫৭ সালে যখন ব্রিটিশ অধীন সেপাইদের মধ্যে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে, সেই সময় আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায় যেমন কল, সাঁওতাল, ভীম, মুন্ডা, মাহাতো সেই আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ে। তাদের লক্ষ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা। সেই থেকেই এই বিদ্রোহকে ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রাম বলা হয়ে থাকে। এরপর থেকেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা ৩০ শে জুন দিনটিকে হুল দিবস উপলক্ষে পালন করে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন ঃ রাস্তাঘাটে পা রেখেই হতবাক সকলে! তৃণমূল প্রার্থীদের এ কী কাণ্ড, হইচই শান্তিপুরে
ঠিক তেমনই আজ থেকে ১৫ বছর আগে থেকে শান্তিপুর রামনগর চর ঝুমুরিয়া গ্রামের ১০০ টি আদিবাসী পরিবার উদযাপন করে আসছে হুল দিবস। বিশেষত এই দিনটিকে প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালন করা হয় বলে জানায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। বুধবার সকাল থেকেই শান্তিপুর ঝুমুরিয়া গ্রামে সিধু, কানু, চাঁদ, ভৈরবের প্রতিচ্ছবিতে মাল্যদান করে আদিবাসী নৃত্যের সাথে ও ধামসা ও মাদল বাজিয়ে এই দিনটিকে উদযাপন করলেন আদিবাসী গ্রামের মানুষ।
তারা জানান, “অন্যান্য সম্প্রদায়ের থেকে আমরা হয়তো পিছিয়ে, তবুও অল্প রোজগারের মধ্যে দিয়েও পরিবারের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই।” সরকারি চাকরি ও বিভিন্ন ধরনের সুবিধা থেকে এখনও বেশ কিছু ক্ষেত্রে বঞ্চিত তবুও বেঁচে থাকার লড়ায়ে হার না মানা লড়াইয়ের বিভিন্ন কথা শোনা গেল তাদের গলায়।
নদিয়া জেলার আদিবাসীদের নিয়ে দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ কাজ করা সংগঠন দিশারির পক্ষ থেকে মানসী দাস জানান, “ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এবং আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মেঘাই সরকারের মূর্তির মতন বেশ কিছু বিষয় উপলব্ধ হলেও এখনও অনেক কিছু বাকি। বিশেষত স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আদিবাসী গ্রামের ল্যান্ডমার্ক খুব প্রয়োজন। আদিবাসীদের সৃষ্টি সংস্কৃতি শিল্পকর্ম সমস্ত কিছু জনসমক্ষে আসলে তা থেকে জীবন জীবিকা রোজগার বাড়বে অনেকটা।”
আজ শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে রক্তাপর্ণের আয়োজন করে তারা। বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ থ্যালাসেমিয়া নির্ণয় এবং রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করানো হয় সংস্থার পক্ষ থেকে।
Mainak Debnath