সম্প্রতি কুটির ঘাট এলাকার কিছু কৃষক নিকাশি নালার মুখ বন্ধ করে দেন। তারপরই বিষয়টি জটিল আকার ধারণ করে। ওই কৃষকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নিকাশি নালার জল তাঁদের চাষের জমিতে পড়ে ফসলের ক্ষতি করছিল। বারবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তাঁরা ওই নিকাশি নালার মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: পথশ্রীতেও ছেঁড়েনি শিকে! অথচ বেহাল রাস্তার কারণে এই গ্রামে ঢুকতে পারে না দমকল, অ্যাম্বুলেন্স
এদিকে নিকাশি নালার মুখ বন্ধ করে দেওয়ায় নর্দমার নোংরা জল রাস্তায় উঠে এসেছে। ফলে রাতারাতি সেই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। এদিকে কুটির ঘাট এলাকার এই রাস্তাটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এখান দিয়েই খেলার মাঠ, চাষের জমি এবং এলাকার একটি মসজিদে যেতে হয়। ফলে ভুক্তভোগীরা এই সমস্যার কথা পুরসভা ও পুলিশের নজরে আনে। এরপর পুর প্রতিনিধি এবং পুলিশ এসে ওই নালার মুখ কেটে দেয়। তাতে ক্ষুব্ধ হন চাষিরা। এরপরই দুই পক্ষকে নিয়ে শান্তিপুর থানায় বৈঠক করেন পুরপ্রধান সুব্রত ঘোষ।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এতদিন যেভাবে নিকাশি নালার জল যাচ্ছিল আপাতত সেভাবেই যাবে। পুরসভার পক্ষ থেকে দ্রুত ওই এলাকার জমি মাপা হবে। এরপর এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে স্থায়ী সমাধান বার করা হবে বলে পুরপ্রধান জানান।
এদিকে পাড়ার বাসিন্দাদের দাবি, কৃষকদের জমি অনেক পিছনে আছে। ফলে ওখান দিয়ে নাকাশি নালার জল গেলেও চাষের কোনও ক্ষতি হবে না। পাল্টা ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দাবি, মাত্র কিছুদিন আগে খেলার মাঠ তৈরি হয়েছে। তাঁরা ১০০ বছর ধরে বংশ-পরম্পরায় ওই জমিতে চাষ করছেন। কৃষকদের অভিযোগ, তাঁদের বাড়ি গাইন পাড়ায় হলেও যেহেতু কুটির ঘাটে চাষের জমি আছে তাই তাঁদের ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে না এলাকার মানুষ।