প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বসে এই হাট। বিশেষত প্রতিবছর পূজো এবং ঈদের সময় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মতো। তবে এ বছরের চিত্রটা অন্যরকম। ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না একেবারেই। গত দুবছর লকডাউনের কারণে সেভাবে বিক্রি বাট্টা হয়নি ফলে এ বছর ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন বেচাকেনা আরো ভালো হবে। ভালো হওয়া তো দূর কোনও কোনও কাপড় ব্যবসায়ীস্ত জানাচ্ছেন লকডাউনের সময়ও যেই বাজার ছিল তারও সিকিভাগও নেই বর্তমানে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আবারও বাচ্চা হস্তান্তরের অভিযোগ রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে!
নবদ্বীপ তাঁত কাপড় হাটের বহু বছরের পুরনো কাপড় ব্যবসায়ী মানিক দেবনাথ জানান, বর্তমানে হাটের বাইরে রাস্তার ফুটপাতে অসংখ্য ছোট ছোট পাইকারি এবং খুচরো রেডিমেড দোকান বসে গিয়েছে। ক্রেতারা হাটের বিল্ডিং এ ঢোকার আগেই রাস্তার দুপাশের দোকানগুলি থেকেই কম দামে তাদের চাহিদা মত সমস্ত রেডিমেড পোশাক পেয়ে যাচ্ছেন। ফলে হাটে ঢুকে জামা কাপড় কিনতে চাইছেন না অনেক ক্রেতারাই।
আরও পড়ুনঃ কেবল তারে পা জড়িয়ে গুরুতর আহত হলেন এক ব্যক্তি
এছাড়াও হাটের ভেতর থেকে কোনও কিছু কেনাকাটা করলে পরে হাট কর্তৃপক্ষকে দিতে হয় কিছু পরিমাণ শুল্ক, সেই শুল্কের টাকা বাঁচানোও হাটের ভিতর থেকে জামা কাপড় না কেনার একটি কারণ বলে মনে করছেন তিনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এর প্রধান কারণ হতে পারে সাধারণ মানুষের নগদ টাকার ঘাটতি। করোনা মহামারীর সময় বহু মানুষ নিজের কাজ অথবা চাকরি হারিয়েছেন। লকডাউন শেষ হয়ে গেলেও বহু মানুষ এখনও আর্থিক দিক দিয়ে পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ফলে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের কাছেই নগদ টাকার যোগান কম।
Mainak Debnath