বনের পাখিদের মধ্যে অনেকের শিস কর্কশ কিছু আবার সুরেলা। ঠিক তেমন মানুষের ক্ষেত্রেও। তবে গান গাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন কন্ঠ আলাদা আলাদা হয় শিষ দেওয়ার ক্ষেত্রেও দুটি ঠোঁটের শব্দ পৃথক হয়, অবশ্য এমনটা বলছেন তাঁরাই, যাঁরা এ বিষয়ে পারদর্শী।
আরও পড়ুন: ইডি-র ডাক গুরুত্বহীন, একুশের মঞ্চে এক সিদ্ধান্তে স্পষ্ট, সায়নীর পাশেই মমতা-অভিষেক
advertisement
সাধারণ মানুষে হিসাবে আমাদের কাছে সবটাই লাগে একই রকম। তবে শিস দেওয়া একটি শিল্পকর্ম তা মানেন অনেকেই, ইদানিং এ বিষয় নিয়ে নতুন করে পড়াশোনা এবং ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। তবে প্রায় একই ভাবে দুই ঠোঁটের সঙ্গে আঙুলের ব্যবহারে সিটি বাজানো অনেকেই কুনজরে দেখেন।
আরও পড়ুন: মাশরুম কারও কারও জন্য ‘বিষ’, মারাত্মক ক্ষতির আগে কারা খাবেন না জানুন
তবে মনের আনন্দে গান গাওয়ার মতো শিসের সুরের কদর করে থাকেন অনেকেই। হিন্দি হোক বা বাংলা সিনেমা জগৎ, শিস দিয়ে গান আজও লক্ষ্য করা যায়। নদিয়ার ফুলিয়া টাউনশিপের অন্তর্গত জীবনানন্দ কলোনির বাসিন্দা অসীম মহলদার শোনালেন তাঁর শিস দেওয়া জীবনের নানান কাহিনী। বিভিন্ন ক্লাবে ব্যান্ডের সঙ্গে শিসের মেলবন্ধন ওই এলাকার অনেকেরই জানা।
সঙ্গীত শিল্পীদের মতো তিনিও শিস দিয়ে গান করেছেন বহু অনুষ্ঠানে। ছোট মুদিখানা দোকান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করা অসীম বাবুর ইচ্ছা আগামীতে, শিস দেওয়া শেখার স্কুল খুলতে। তবে তিনি নিজে আরও শিখতে চান, প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মধ্যে থাকলে এর শিল্প উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করা যায় বলে তিনি মনে করেন।
Mainak Debnath